ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) শামা ওবায়েদকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) শহীদুল ইসলাম বাবুলের সমর্থক কবির ভূঁইয়াকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিনগত রাতে নগরকান্দা থানায় নিহত কবির ভূঁইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন।
মামলায় শামা ওবায়েদকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মামলায় নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল ও তার ভাই মাসুদুর রহমানসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৫০-৬০ জনকে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের নগরকান্দা থানা বিএনপি, নগরকান্দা থানা কৃষক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ নগরকান্দার জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য নগরকান্দা পেট্রোল পাম্পের সামনে পথসভার আয়োজন করা হয়। এ খবর পেয়ে শামা ওবায়েদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ওই পথসভা পণ্ড করার জন্য তার পক্ষের লোকদের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে নির্দেশ দেন, যা কিছু হোক, যেভাবেই হোক লোক মারতে হলে মরবে তবুও শহীদুলের পথসভা করতে দেওয়া যাবে না। তাতে খুন-জখমের মামলা-মোকদ্দমা যাই হোক আমি দেখবো। টাকা-পয়সা যত লাগে আমি দেবো। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কবির ভূঁইয়াকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
Advertisement
এ বিষয়ে শামা ওবায়েদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ফরিদপুরের স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে শামা ওবায়েদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘শামা ওবায়েদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দাগ লাগানোর জন্য তার নাম জড়ানো হয়েছে। ঘটনার দিন তিনি তো বাড়িতেই ছিলেন না। নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই প্রমাণ হবে তিনি এতে জড়িত নন।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এন কে বি নয়ন/এসআর/জেআইএম
Advertisement