আন্তর্জাতিক

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে আরও বৃষ্টিপাতের শঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে দানা বেঁধেছে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডে রয়েছে নিম্নচাপ। ফলে শনিবার (২৪ আগষ্ট) সকাল থেকে গোটা রাজ্যে আকাশের মুখ ভারি। কলকাতাসহ উত্তরবঙ্গে আবারও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী তিন-চার দিন পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

Advertisement

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কলকাতার দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি বাড়বে। বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। ধীরগতিতে তা পশ্চিমের দিকে এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাবে এই নিম্নচাপ।

আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু অঞ্চল, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এই জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার (২৪ আগষ্ট) ও রোববার (২৫ আগষ্ট) গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যেসব মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন তাদের ফিরে আসার অনুরোধ করা হচ্ছে।

Advertisement

ইতোমধ্যেই আবহাওয়ার কারণে কাকদ্বীপ পাথরপ্রতিমা নামখানা এবং ফ্রেজারগঞ্জে মৎস্য বন্দরগুলোতে মাছের ট্রলার ভিড় করতে শুরু করেছে।

রোববার (২৫ আগষ্ট) সমুদ্র উত্তাল থাকবে। হঠাৎ করে খারাপ আবহাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এই সময়ে বৃষ্টির জন্য গভীর সমুদ্রে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ইলিশ মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গত দু’দিন ধরে বৃষ্টির কারণে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.১ ডিগ্ৰি কম। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৯৪ থেকে ৯৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন:  গজলডোবায় কমতে শুরু করেছে পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ত্রিপুরায় বাঁধ খুলে দিলো ভারত, হু হু করে পানি ঢুকছে বাংলাদেশে আমরা বাঁধের মুখ খুলিনি, একা একা খুলে গেছে: ভারত

উত্তরবঙ্গে কেবল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পংয়ে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

ডিডি/টিটিএন