‘১৯৯১ সালের বন্যার চেয়ে এবারের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। তখন আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে হয়নি। এবার অনেক চেষ্টা করেও ঘরে থাকতে পারিনি। ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বাধ্য হয়েছি।’
Advertisement
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জেবি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে টুকুরানী দাস, তসকী দাস, রাধারানী দাস ও মিঠু রানী দাস এভাবেই বন্যার বর্ণনা দেন। তাদের সবার বাড়ি আজমপুর জলদাস পাড়ায়।
টুকুরানী দাস বলেন, আমার বয়সে কোনোদিন এত পানি চোখে দেখিনি। কখনো বন্যার সময় ঘর থেকে বের হইনি। এবার অনেক চেষ্টা করেছি ঘরে থাকতে, কিন্তু পারলাম না। বাধ্য হয়ে এখানে উঠেছি।
মিঠু রানী দাস বলেন, সব শেষ হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ঘরের কিছু রক্ষা করতে পারিনি। এক কাপড়ে বের হয়ে আসছি।
Advertisement
নুর উদ্দিন নামে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বলেন, আমার বয়সে এখানে এত পানি দেখিনি। এবার যে পরিমাণ পানি উঠেছে ভয়াবহ অবস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে জেবি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১২০০ লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবীরা খাবারের ব্যবস্থা করছে। শুধু জোরারগঞ্জ এলাকার আশপাশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মিরসরাই উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও অনেকে ঘরের মধ্যে আটকে ছিল। গত দুইদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে জীবন কাটছে তাদের।
এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/এমএস
Advertisement