মৃতের আত্মায় সওয়াব পৌছানো বা তার উপকারে আসার সুন্নত দুটি পদ্ধতি হলো মৃতের জন্য দোয়া করা এবং সদকা করা। নবীজি (সা.) ও সাহাবিদের থেকে বহু সূত্রে মৃতের জন্য এ দুটি আমলের কথা বর্ণিত রয়েছে।
Advertisement
কোরআনে পূর্ববর্তী মুসলমানদের জন্য পরবর্তী মুসলমানদের ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَ الَّذِیْنَ جَآءُوْ مِنْۢ بَعْدِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ
যারা তাদের (অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের) পরে এসেছে। তারা বলে, হে আমাদের রব! ক্ষমা করুন আমাদের এবং আমাদের সেই ভাইদেরও যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে। (সুরা হাশর: ১০)
Advertisement
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, সাদ ইবনে উবাদার (রা.) অনুপস্থিতিতে তার মা ইন্তেকাল করেন। তিনি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞাসা করলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার মা মারা গেছেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে সদকা করি, তবে কি তার কোনো উপকারে আসবে? নবিজি (সা.) বললেন, হাঁ। সাদ রা. বললেন, আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি আমার ‘মিখরাফ’ নামের বাগানটি আমার মায়ের জন্য সদকা করে দিলাম। (সহিহ বুখারি: ২৭৫৬)
এ ছাড়া নফল নামাজ পড়ে, নফল রোজা রেখে ও কোরআন তিলাওয়াত করেও মৃতের কাছে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য দোয়া করা যায়। মৃতের আত্মায় সওয়াব পৌঁছানোর জন্য কোরআন তিলাওয়াত করা নবউদ্ভাবিত পদ্ধতি বা বিদআত নয়।
মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমরা তোমাদের মৃতদের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ কর। (সুনানে আবু দাউদ: ৩১২১)
শা’বী (রহ.) বলেন, আনসার সাহাবীরা মৃতের কাছে সুরা বাকারা তিলাওয়াত করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১০৯৫৩)
Advertisement
সুতরাং মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া ও সদকা করার পাশাপাশি কোরআন তিলাওয়াত করাও জায়েজ এবং এর মাধ্যমে মৃত ব্যক্তি উপকৃত হবে বলে আশা করা যায়।
ওএফএফ/এমএস