জাতীয়

উদ্ধার আর ত্রাণের অপেক্ষায় বহু মানুষ

ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি। এ পর্যন্ত ১২ জেলায় ১৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। পানিবন্দি অন্তত ৯ লাখ পরিবার।

Advertisement

ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে ডুবে আছে দেশের অন্তত ১২ জেলার বহু মানুষ। কোথাও কোথাও পানি কমতে শুরু করলেও বেশিরভাগ এলাকায় বাড়ছে। বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

এখনও বহু মানুষ উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় কুলকিনারা পাচ্ছেন না তারা।

এদিকে, স্থানীয় স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসার মতো আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।

Advertisement

আরও পড়ুন:

বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৫, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯ লাখ মানুষ বন্যায় ফেনীর ৯০ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল, টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ত্রাণ দিতে ঢাবির টিএসসিতে স্রোতের মতো আসছে মানুষ

বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তায় চলছে ত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রম। সেনা-নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা স্ব-উদ্যোগে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন এবং ত্রাণ বিতরণ করছেন।

সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ফেনী ও কুমিল্লায়। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বন্যাকবলিত এসব জেলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে টেলিযোগযোগ সেবা। বিশেষ করে ফেনী জেলার অবস্থা বেগতিক। জেলাটির ৯০ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে অচল হয়ে পড়ায় টেলিযোগাযোগ সেবা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন সেখানকার মানুষ। এতে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতেও হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি।

Advertisement

পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান কুমিল্লা সেনানিবাসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। এরপর তিনি হেলিকপ্টারযোগে ফেনীর পরশুরাম এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুপুর ১টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়োসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসএনআর/এমএমএআর/এমএস