দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে সড়কপথে যাতায়াত ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উড়োজাহাজে যাত্রীদের যাতায়াত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
Advertisement
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন। আনসার সদস্যদের কর্মবিরতির পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে যান তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, দেশে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা চলছে। এজন্য আকাশপথে যাতায়াত বাড়ছে। এর সুযোগ নিয়ে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যেন ভাড়া না বাড়ায়। এছাড়া এয়ারলাইন্স কোম্পানীগুলোকে বাড়তি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রীসেবা বৃদ্ধির ব্যাপারে অনুরোধ করেছেন এবং সে অনুযায়ী কোম্পানীগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, উদ্ভূত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে অনেক যাত্রী সময়মত বিমানবন্দরে আসতে পারছেন না। এ কারণে যেন যাত্রীদের টিকিট রি-ইস্যু করতে বাড়তি চার্জ আদায় না করা হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলেও উপস্থিত সাংবাদিকদের অবগত করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন:
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৫, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯ লাখ মানুষ কলার ভেলায় উদ্ধার হচ্ছে মানুষ মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ সেনাপ্রধানেরবেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা কর্মবিরতিতে চলে যাওয়ার পর বেবিচক কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এভিয়েশন সিকিউরিটি এবং বিমান বাহিনীর সহায়তায় পুরো কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা সক্ষম হয়। বিমান বাহিনীর এই সহায়তার জন্য তিনি বিমান বাহিনী প্রধানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতিতে বেবিচক বন্যার্তদের সহায়তায় সেল গঠন করে বলেও জানান তিনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় জনগণের প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য এই সেল কাজ করবে। তিনি আরও জানান, উক্ত সেলে বেবিচক কর্মকর্তা ও কর্মচারী যার যার অবস্থান থেকে আর্থিক অথবা দ্রব্য সামগ্রী সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে যেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা যায়।
এমএমএ/এসএনআর/এমএস
Advertisement