দেশজুড়ে

আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে মানুষের আকুতি

মিরসরাইয়ের ধুম ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকা। এখানে আটকা পড়েছে মোহাম্মদ ফয়সালের বোনের পরিবার। আশ্রয় পেতে মোবাইল একটি নৌকার জন্য বার বার আকুতি জানান। অনেকে কষ্টে মিরসরাই পৌরসভা থেকে বোনের পরিবারকে উদ্ধারে যান ফয়সাল। কিন্তু নৌকা না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে আনা সম্ভব হচ্ছে না তাদের।

Advertisement

শুধু ফয়সাল নয়, এভাবে অনেকে আকুতি জানিয়েছেন বন্যার পানিতে আটকে থাকা পরিবারের লোকজন। বিশেষ করে ধুম ইউনিয়নের শুক্রবারইয়ারহাট, মোবারকঘোনা, মিনাবাজার, আনন্দ বাজার এলাকায় শত শত লোক এখনো আটকে রয়েছেন।

জাহিদ চৌধুরী নামে একজন বলেন, আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমি দেশের বাইরে রয়েছি। ঘরের সব মোবাইল বন্ধ। তারা কেমন আছে, আল্লাহ ভালো জানেন।

মোহাম্মদ সবুজ নামের আরেকজন বলেন, নাহেরপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি পরিবার আটকা পড়েছে। কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন, অনেক জায়গায় খোঁজ করেও নৌকা ম্যানেজ করতে পারিনি।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যাকবলিত অনেক এলাকার লোকজন বৃহস্পতিবার বাড়ি ছেড়ে আসেনি। পরে রাতে পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন। শুক্রবার সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইলে নৌকা সংকটের কারণে আসতে পারছে না। এখন আবার পানি বাড়ছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে না পারলে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে তাদের জীবন।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন জানান, সবাইকে পানি বেড়ে যাওয়ার আগে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হলেও অনেকে যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বেড়ে যাওয়ায় এখন নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। আমাদের সাধ্যমতো নৌকা, বোট পাঠানো হচ্ছে। তবে মানুষের তুলনায় নৌকা অপ্রতুল।

এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/এএসএম

Advertisement