‘বাড়ি-ঘর আসবাবপত্র সবকিছু আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়ে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বেঁচে আসলাম। পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই। এখন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হবে।’
Advertisement
এভাবে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ধুম ইউনিয়নের গোলকেরহাট এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ মোহাম্মদ ইলিয়াস।
তিনি বলেন, গতকাল পানি বেশি ছিল না, তাই বাড়ি থেকে বের হইনি। আজ পুরো ঘর পানিতে ডুবে গেছে, আর থাকতে পারছি না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র চলে আসছি।
একই ইউনিয়নের মোবারকঘোনা এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক জামশেদ আলম বলেন, জীবিকার একমাত্র অবলম্বন রিকশাটি স্রোতে ভেসে গেছে। ঘরের কিছু রক্ষা করা যায়নি। কোনোভাবে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে আত্মীয় বাড়ি চলে যাচ্ছি।
Advertisement
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী নদী তীরবর্তী মিরসরাইয়ের চারটি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি করেরহাট ইউনিয়নের জয়পুর পূর্বজোয়ার, পশ্চিম জোয়ার, কাটাগাং, অলিনগর, হাবিলদারবাসা, ছত্ত্বরুয়া, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর, গনকছড়া, মধ্যম আজমনগর, ধুম ইউনিয়নের শুক্রবার ইয়ারহাট, মোবারকঘোনা, শান্তিরহাট, নাহেরপুর, গোলকেরহাট, মৌলভীবাজার, মিনা বাজার, আনন্দ বাজার এলাকায় শত শত মানুষ আটকা পড়েছেন।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন জানান, চারটি ইউনিয়নের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানে যাওয়ার অবস্থাও নেই। তারপরও আমরা ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement