লক্ষ্মীপুরে কমেছে ভারী বর্ষণ। ফলে সকাল ৮টার পর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জলাবদ্ধতা হয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে।
Advertisement
কমলনগর, রায়পুর ও রামগতির বিভিন্নস্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে না। কোথাও কোথাও রোদ দেখা গেছে। আবার কোথাও গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
এরমধ্যে রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর সদরের একাংশে অন্তত ৬ লাখ মানুষ পানির কষ্টে রয়েছেন। অনেকের বসতঘর পানিতে ডুবে আছে। কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের সর্বত্র এখন ৪ ফুট পানির নিচে।
ভুলুয়া নদীর দক্ষিণ প্রান্তে আজাদনগর স্টিল ব্রিজ এলাকাসহ বিভিন্ন অংশ দখলের কারণে আশানুরুপভাবে পানি নামছে না। ভুলুয়া নদীর সঙ্গে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ২০টি ইউনিয়নের মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। অবৈধ দখলদারের কারণে রহমতখালী ও ডাকাতিয়া নদীর পানি নামতেও বেগ পেতে হচ্ছে।
Advertisement
স্থানীয় পাউবো সূত্র জানায়, শুক্রবার মেঘনা নদীতে সকাল সাড়ে ৭টার থেকে ভাটা চলছে। বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত জোয়ার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জোয়ার সময় পাউবোর স্লুইস গেটগুলো বন্ধ রাখা হয়। এতে নদীর পানি ভেতরে ডুকে না।
রামগতির চরপোড়াগাছা গ্রামের শেখের কিল্লা এলাকার বাসিন্দা ঝর্ণা বেগম ও আরিফ হোসেন বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়ির সামনেসহ আশপাশে কোমর পর্যন্ত পানি জমে আছে। একটুও পানি নামছে না। বাড়িতে হাঁটুপানি। আমাদের ঘরে আরও ৫টি পরিবারকে আশ্রয় দিতে হয়েছে। গত কয়েকদিন ইট বসিয়ে রান্না করতে হয়েছে। এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না। পানির কারণে আগুন জ্বলছে না।
রায়পুরের খাসেরহাট নাইয়াপাড়া জেলে সমিতির সভাপতি মোস্তফা বেপারী বলেন, জমে থাকা পানি নদীতে নামছে। ভারী বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে সময় লাগবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, লক্ষ্মীপুরে আর ভারী বৃষ্টি না হলে চলমান জলাবদ্ধতার সংকট ৩ দিনের মধ্যে কেটে যাওয়ার আশা করছি।
Advertisement
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৮৯টি সাইক্লোন শেল্টারগুলোও প্রস্তুত রয়েছে। অসহায় মানুষদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
কাজল কায়েস/জেডএইচ/এএসএম