বন্যাকবলিত কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় দুটি স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শরীয়তপুরের যুবকরা। ৮ ঘণ্টায় অন্তত ৭ শতাধিক আটকা পড়া লোককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন তারা।
Advertisement
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে বুড়িচং থানার নানুয়া বাজার ও ফেনী জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করছেন তারা।
উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, আকস্মিক বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলায় আটকা পড়েছে লোকজন। এসব বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে শরীয়তপুর থেকে ফান্ড গঠন করে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তা নিয়ে দুটি স্পিডবোট ঠিক করে রাতে রওনা হন তারা।
শুক্রবার সকাল থেকে কুমিল্লার বুড়িচং ও ফেনী এলাকায় ২০ স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধার কাজ শুরু করেন। অন্তত ৭ শতাধিক বন্যায় আটকা মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন।
Advertisement
তবে বন্যাকবলিত স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার, পানি ও স্পিডবোট সংকট রয়েছে বলে জানান তারা।
সীমান্ত নামের শরীয়তপুরের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, আমরা সকাল থেকে কুমিল্লার নানুয়া বাজার এলাকায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছি। তবে আমাদের খাবার সংকট। এছাড়া স্পিডবোট আরও কয়েকটি হলে দ্রুত লোকজকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।
স্বেচ্ছাসেবকদের দলনেতা ইমরান আল নাজির বলেন, শরীয়তপুর থেকে আসা কুমিল্লা ও ফেনীতে আমাদের দুটি টিমে ২০ সদস্য উদ্ধারে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত আমরা অন্তত ৭০০ লোককে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।
বিধান মজুমদার অনি/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement