যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন নিলেন দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। স্থানীয় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) শিকাগোয় দলের চার দিনের জাতীয় সম্মেলনের শেষে রাতে তিনি চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন গ্রহণ করেন।
Advertisement
মনোনয়ন গ্রহণ করে দেশবাসীর উদ্দেশে কমলা হ্যারিস বলেন, আমার বিশ্বাস ২০২৪ সালের নির্বাচন হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই। আর এই মনোনয়ন মনোনয়ন একটি নতুন পথ তৈরি করার সুযোগ।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের জাতির কাছে অতীতের তিক্ততা, নিন্দাবাদ ও বিভেদমূলক যুদ্ধকে অতিক্রম করার একটি মূল্যবান, ক্ষণস্থায়ী সুযোগ রয়েছে। কোনো একটি দল বা উপদলের সদস্য হিসেবে নয়, আমেরিকান হিসেবে কাজ করবো।
কমলা বলেন, আমি সবসময় ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে থাকবো। একই সঙ্গে গাজার দুর্ভোগের মাত্রা হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের আত্মস্বীকৃতির পক্ষেও কাজ করবো। গর্ভপাতের অধিকার রক্ষায় কাজ করার প্রতিজ্ঞাও করেছেন তিনি।
Advertisement
এদিকে, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হ্যারিসের বক্তৃতার সমালোচনা করে তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, তিনি যেসব বিষয়ে অভিযোগ করছেন, সেসব বিষয়ে তিনি কেন এতদিন কিছুই করেননি?
২০২৪ সালের বেশিরভাগ সময়ই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হয়ে দলীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন কমলা হ্যারিস। তবে বৃহস্পতিবার তিনি প্রচারণায় আসেন নতুন পরিচয়ে। তার নেতৃত্বেই ভোটে লড়বে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
চলতি বছরের ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে কমলার প্রতিপক্ষে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও প্রথম দক্ষিণ এশীয় হিসেবে নারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে কমলার প্রার্থিতা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় চমক। আর যদি ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারেন, তাহলে তবে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
Advertisement
সূত্র: ডয়চে ভেলেে
এসএএইচ