চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে ১২টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে কৃষি প্রণোদনা বাড়ানো ও পুনর্বাসন কর্মসূচি জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।
সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-
১. অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, উপজেলা কৃষি অফিসার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে;
Advertisement
২. চলমান কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি জোরদার করতে হবে;
৩. বন্যায় ক্ষতি মোকাবিলায় উপযুক্ত জাতের আমন ধানের বীজের পর্যাপ্ত সংস্থান ও সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে;
৪. অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় আপদকালীন বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করতে হবে;
৫. নাবি জাতের রোপা আমন ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে;
Advertisement
৬. নাবি জাতের ধানের বীজ দেশের বন্যামুক্ত এলাকা থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে;
৭. বন্যাকবলিত ঝুঁকিপূর্ণ গুদামে রক্ষিত সার নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে;
৮. আগাম জাতের শীতকালীন সবজি উৎপাদনের বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে;
৯. বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় করতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাতে হবে;
১০. বন্যাদুর্গত এলাকার কৃষি অফিসগুলোতে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা;
১১. বন্যাদুর্গত এলাকার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করতে উপজেলা, জেলা, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপনপূর্বক হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করতে হবে; এবং
১২. বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি অফিসগুলোর মালামাল নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।
বৃহস্পতিবার কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনলাইনে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার সমন্বয়ে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে কাজ হয়েছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এনএইচ/এসআর