ধর্ম

পারিশ্রমিক নির্ধারণে করণীয়

ইসলাম মানুষের বিভিন্ন অধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত সোচ্চার। এটা হতে পারে শ্রম, শ্রমিক, মজুরি অথবা মালিক পক্ষের অধিকার। শ্রমিকের কাজের বিনিময়ে মজুরি নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো->> ইসলামি অর্থনীতিতে মজুরি নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ না করে তাকে কাজে নিয়োগ করা যাবে না। (বায়হাকি)>> মজুরি নির্ধারণে ইসলামি অর্থনীতির সূত্র হলো, ন্যুনতম মজুরি প্রত্যেক শ্রমিকের প্রয়োজন অনুসারে নির্ধারিত হবে।` অর্থাৎ প্রত্যেক শ্রমিককে কমপক্ষে এমন মজুরি দিতে হবে, যেন (বিলাসিতা ব্যতিত) সে এর দ্বারা ন্যায়ানুগ ও স্বাভাবিক চাহিদা মিটাতে পারে।>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌অধীনস্থদের খোর-পোষ দিতে হবে।’ (মুসলিম) অর্থাৎ এ হাদিসের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, মালিকপক্ষ শ্রমিকের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিবে অথবা এমন পরিমাণ মজুরি দিবে, যাতে তাদের প্রয়োজন মিটে যায়।>> প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির কাজের দক্ষতা, যোগ্যতা, পরিবেশ, চাহিদা ও জীবনযাত্রা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে। আর এগুলো যেহেতু পরিবর্তনশীল, তাই শ্রমিকের মজুরির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন সাধিত হতে পারে।>> বিশেষত মজুরি নির্ধারণের পূর্বেই মালিক তার শ্রমিক থেকে কি ধরনের কাজ নিতে চায়, তা আলোচনা করে নিতে হবে। কারণ কোনো শ্রমিককে এক কাজের জন্য নিয়োগ করে তার সম্মতি ছাড়া তাকে দিয়ে অন্য কাজ করানো বৈধ নয়। সুতরাং মজুরি নির্ধারণের পূর্বেই কাজের ধরন, সময় ইত্যাদি বিষয়াদি আলোচনা করে যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত মজুরি নির্ধারণ করা উত্তম।পরিশেষে...মালিকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো মজুরি নির্ধারণ করার পূর্বে কাজের বিভিন্ন বিষয় ফয়সালা করে মজুরি নির্ধারণ করা এবং সময়মতো মজুরি প্রদান করা। সুতরাং ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিকের প্রয়োজনীয় মজুরি প্রদান করাই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। মালিককে এ কথা খেয়াল রাখতে হবে যে, তার প্রদেয় মজুরি যেন শ্রমিকের প্রয়োজন পূরণে যথেষ্ট হয়।আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সকল মালিকপক্ষকে শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণে তাদের সন্তুষ্টি বিধানের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস

Advertisement