জাতীয়

আরও ৫১৫ টাওয়ার অচল, ব্যাহত টেলিযোগাযোগ

প্রবল বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলা। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বন্যাকবলিত এসব জেলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে টেলিযোগাযোগ সেবা।

Advertisement

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভি-স্যাটসহ বিকল্প উপায়ে প্রচেষ্টা চালানোর পরও অচল মোবাইল টাওয়ারের সংখ্যা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৫টার তথ্যানুযায়ী, বন্যায় দেশের ১২টি জেলার ২ হাজার ২৫টি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার রিপোর্ট অনুযায়ী ১১ জেলায় ১ হাজার ৫১০টি মোবাইল টাওয়ার অচলের তথ্য জানিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সেই হিসাবে নতুন করে আরও ৫১৫টি টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত বন্যার কারণে ১২ জেলায় মোবাইল টাওয়ার বা সাইট অচল হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। জেলাগুলো হলো- নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও রাঙ্গামাটি।

Advertisement

বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মোবাইল টাওয়ার বা সাইট অচল হয়ে পড়েছে কুমিল্লায়। জেলাটিতে থাকা ২ হাজার ৫২৯টি টাওয়ারের মধ্যে ৬০৯টি অচল হয়ে পড়েছে। এখনো সচল আছে এক হাজার ৯২০টি। তবে শতাংশের হিসাবে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে ফেনী। ৭১ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। সেখানে থাকা ৬৫৬টি টাওয়ারের মধ্যে এখন ৪৬৬টিই অচল। মাত্র ১৯০টি টাওয়ার সচল রয়েছে।

আরও পড়ুনবন্যায় ১১ জেলায় ১৫১০ মোবাইল টাওয়ার অচল, বেশি ফেনীতে

খাগড়াছড়িতেও বেগতিক অবস্থা। জেলাটির ২০৮টি টাওয়ারের মধ্যে ৯৪টি অচল। সচল আছে বাকি ১১৪টি। মোট টাওয়ারের মধ্যে ৪৫ শতাংশই অচল হয়ে পড়েছে এ জেলায়।

এছাড়া নোয়াখালীতে ৩৪৪টি, চাঁদপুরে ১২১, চট্টগ্রামে ১৯৪টি, লক্ষ্মীপুরে ৮৪টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২, মৌলভীবাজারে ৪২, সুনামগঞ্জে ২৪, রাঙ্গামাটিতে ৯, হবিগঞ্জে ৬টি টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।

বিটিআরসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, বন্যাকবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়। এরমধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া টেলিকম অপারেটরদের সাইটগুলো সচল রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসংযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সমন্বয় করছে।

টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) রাখার ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এএএইচ/এমএএইচ/এএসএম