দেশজুড়ে

চৌদ্দগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দেড় লাখ মানুষ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানি ক্রমেই বাড়ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দেড় লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সঙ্কট।

Advertisement

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হচ্ছে শুকনো খাবার। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের অংশ। এতে যানবাহন চলাচলেও ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে সরকারি স্বাস্থ্যসেবাও।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।

জানা গেছে, বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পানি কাঁকড়ি নদীসহ বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রবেশের ফলে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। ক্রমাগত বাড়ছে পানি। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা।

Advertisement

স্থানীয় সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ এই মুহূর্তে পানিবন্দি। সবাই খাবার ও সুপেয় পানির সঙ্কটে ভুগছেন। অনেকেই শিশু বাচ্চা নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দায় মুক্ত হয়েছে। খাবার ও উদ্ধারের জন্য মানুষের ডাকে তেমন সাড়া দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে স্থানীয় কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে এলেও প্রয়োজনের তুলনায় তাদের সহায়তা অপ্রতুল।

কনকাপৈত ইউনিয়নের মাসকরা গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, বুধবার বিকেল থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ দুপুর পর্যন্ত কোমর সমান পানি হয়ে গেছে। রাতে আরও বেড়ে যাবে। ঘরে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। কীভাবে রাত কাটবে জানি না।

তবে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলছেন, যে পরিমাণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে, সবাইকে একসঙ্গে সহায়তা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে গুরুত্ব অনুসারে সেবা দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর একটি রেসকিউ টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে উদ্ধার তৎপরতায় আরও গতি বাড়বে।

মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম লোকমান হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, মহাসড়কে যানবাহন খুব কম। সড়ক এখনো পানির নিচে।

Advertisement

জাহিদ পাটোয়ারী/জেডএইচ/জেআইএম