বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মৌলভীবাজারের আঞ্চলিক মহাসড়ক। এতে জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় কমপক্ষে এ অঞ্চলে আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
Advertisement
এদিকে মনু ও ধলাই নদীর একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে মনু নদীর টিলাগাঁও এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কুলাউড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।
মনু নদীর ভাঙনে রাজনগর উপজেলার টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানিতে তলিয়ে গেছে মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কদমহাটা এলাকা। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
Advertisement
কদমহাটা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মুনায়েম কবির বলেন, রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখানে পানি আর পানি। ২০১৮ সালে মনু নদীর ভাঙনে একই জায়গায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এবছর একই জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। যদি এই বাঁধটি আগে সঠিকভাবে দেওয়া হতো তাহলে এরকম ঘটনা ঘটতো না।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মনু নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার, চাঁদনীঘাট এলাকায় ১১৯ সেন্টিমিটার, ধলাই নদীতে ২৮ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীতে বিপৎসীমার ১৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ২১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১৬টি, এতে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, রাতে মনু নদীর উজানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে।
Advertisement
ওমর ফারুক নাঈম/জেডএইচ/জেআইএম