অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নাটোর-৩ (সিংড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত) সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন
Advertisement
জানা যায়, সেই নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে নির্বাচনী ব্যয় বহন করেন তিনি। নির্বাচনী হলফনামায় লেখেন ১৫ শতক কৃষিজমি, ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা এবং ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে তার।
অভিযোগ আছে, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হয়ে আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যান পলক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা। তাই জয়ের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ পান পলক। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হয়ে ওঠেন স্বেচ্ছাচারী। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি হত্যা মামলায় গত ১৪ আগস্ট গ্রেফতার হন পলক।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
এরই মধ্যে রাজধানীর বনানীতে নসরুল হামিদের মালিকানাধীন ‘প্রিয়প্রাঙ্গণ’ ভবনে গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতভর অভিযান চালিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী এ যৌথ অভিযান চালায়।
Advertisement
আরও পড়ুন
পলক ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দএ সময় ‘প্রিয়প্রাঙ্গণ’ নামের ওই ভবনে নসরুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকটি ভল্টে থাকা নগদ ১ কোটি ৫১ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ অর্থের মধ্যে ৫১০ লিরাসহ (তুরস্কের মুদ্রা) কিছু বিদেশি মুদ্রা রয়েছে। অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ অন্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
এসএম/এমকেআর/এএসএম