জাতীয়

বন্যাকবলিত মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকার সার্বিকভাবে চেষ্টা করছে

বন্যাকবলিত এলাকায় সরকার সার্বিকভাবে মানুষের জানমাল রক্ষায় চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

Advertisement

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বন্যার বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রথম হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব মানুষের জীবন বাঁচানো। মানুষের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। সেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং অন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেগুলো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ত্রাণ মন্ত্রণালয় সঙ্গে কাজ করে, তাদের সবাইকে নিয়োজিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যেসব ছাত্ররা ছিলেন তারাও উদ্ধার তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সার্বিকভাবে প্রশাসন চেষ্টা করছে, সরকার চেষ্টা করছে যেন মানুষের জানমাল, গবাদি পশু ইত্যাদি যেন রক্ষা করা যায়।

‘ত্রাণ হিসেবে নগদ এবং চাল বরাদ্দের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি আছে। উপদ্রুত অঞ্চলে সকল শক্তি নিয়োজিত করা হয়েছে। বৃষ্টি কমলে দ্রুত পানি নামলে তখন আমরা পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করব।’

Advertisement

আরও পড়ুনআমরা বাঁধের মুখ খুলিনি, একা একা খুলে গেছে: ভারতলক্ষ্মীপুরে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দিসিলেটে চার পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে কুশিয়ারা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা বলেন, বন্যার পূর্বাভাস ছিল না, এটি ছিল ফ্ল্যাশ ফ্লাড। কেউ বলছেন উজান থেকে ভারতীয় অঞ্চল থেকে পানি নেমে এসেছে, বন্যা যেভাবে প্রাকৃতিকভাবে হয়, খুব দ্রুতই হয়েছে। পানি এত দ্রুত বেড়েছে যে অনেক উপদ্রুত এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না।

বলা হচ্ছে ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের বন্যা হয়েছে- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়েও যোগাযোগ হচ্ছে। আমি সঠিকভাবে আপনাদের কাছে বলতে পারছি না। শুনেছি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে, তাদের ওখানেও বন্যা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।

ফারুক-ই আজম বলেন, ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছে এটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখেছে, বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। সরকারিভাবে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে। আজকে মনে হয় ভারতের হাইকমিশনার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে হয়তো বিষয়টি জানা যাবে।

এখনই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা বৃহস্পতিবারই বন্যাকবলিত ফেনীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।

Advertisement

আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম