কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হবে, ফেসবুকে এমন প্রচারে আতঙ্ক চেপে বসেছে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে। তবে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের নিশ্চিত করেছেন, এখনো কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
Advertisement
তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পানি ছিল ১০৩ এমএসএল। আরও ৬ এমএসএল হলে পানি ছাড়তে হবে। ছাড়ার ৬ ঘণ্টা আগে মাইকিং নয়, গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হবে।
গতকাল দেশব্যাপী বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পরপরই ফেসবুকে কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এমন খবরে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে মানুষ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে যায় চট্টগ্রামে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালীসহ ভাটির এলাকাগুলোতে।
এদিকে বর্তমানে চট্টগ্রামের হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হালদা নদী ছাড়াও লেলাং খাল, ধুরুং খাল, সর্তা খাল, ফটিকছড়ি খাল, মন্দাকিনী খাল, গজারিয়া খাল, তেলপারি খাল, কুতুবছড়ি খালের তীর ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, রাউজান ও হাটহাজারীতে অন্তত আড়াই লাখ মানুষ।
Advertisement
গতকাল বুধবার রাতেই উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ধুরং ও হালদা নদীতে পানির চাপ বাড়ায় অন্তত ৬টি স্থানে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজ্জামেল হক চৌধুরী বলেন, ফটিকছড়ি দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী ও বেশ কিছু খালের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি লাখো মানুষ।
প্রায় একই অবস্থা কর্ণফূলী তীরবর্তী রাউজানের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, যদি কাপ্তাই হ্রদের পানি কর্ণফূলী নদীতে ছাড়তেই হয়, তাহলে আরও বেশি এলাকায় নতুন করে বন্যা তৈরি হবে।
এএজেড/এমএইচআর/এএসএম
Advertisement