জাতীয়

বন্যায় ১১ জেলায় ১৫১০ মোবাইল টাওয়ার অচল, বেশি ফেনীতে

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোতে টেলিযোগাযোগ সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত ১১ জেলায় দেড় হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেনীতে। অচল টাওয়ারগুলোর মধ্যে ৪২ শতাংশ ফেনীর এবং ৪১ শতাংশ খাগড়াছড়ির। অচল টাওয়ারগুলো সচলে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিটিআরসি।

দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার রিপোর্ট অনুযায়ী বন্যায় প্লাবিত ১১টি জেলায় মোট ৬ হাজার ৯৮৬টি সাইটের (টাওয়ার) মধ্যে ৫ হাজার ৪৭৬টি সাইট সচল আছে। অচল রয়েছে ১ হাজার ৫১০টি টাওয়ার। অচল হয়ে পড়া টাওয়ারের হার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন>>> লক্ষ্মীপুরে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দিটেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত রাখতে বিটিআরসির ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী এবং খাগড়াছড়ির টাওয়ার। যথাক্রমে ফেনীতে অচল হয়ে পড়া টাওয়ার ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং খাগড়াছড়িতে ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। অচল টাওয়ারগুলো দ্রুত সচল করার ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তাছাড়া টেলিকম অপারেটরদের সাইটগুলো সচল রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসংযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সমন্বয় করছে।

টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) রাখার ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এএএইচ/এসআইটি/জেআইএম