আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেছেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রজ্ঞাপন জারির পর আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। আগামী এক বছর পর থেকে সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। স্বৈরশাসকের প্রণীত বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) এর কারণে খালবিল, জলাশয় ও কৃষিজমি দ্রুত গতিতে হ্রাস পাবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হবে।
Advertisement
খাতের উদ্যোক্তারা বলেন, ব্যবসা স্থবির হওয়ায় আবাসন শিল্পে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ লোক বেকার হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতির কথা ভেবে ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) বাতিল করে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ ও মাস্টার প্ল্যান (ড্যাপ)-২০১০ বিধি অনুসারে ভবনের নকশা অনুমোদনের আদেশ প্রদান করা হোক।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান আবাসন ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, সহ-সভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক, প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহসহ এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, একটি সুন্দর ও সময়োপযোগী ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ কে উপেক্ষা করে ও মাস্টার প্ল্যান-২০১০ অন্যায়ভাবে রহিত করা হয়। এর মাধ্যমে আবাসন খাতকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মদতপুষ্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে খুশি করতে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এ কাজ করেন। আবাসন শিল্পের স্থবিরতা কাটেনি এবং জনগণের অসন্তোষ বিদ্যমান রয়েছে। অনেক এলাকায় আগে যেখানে ৮ তলা ভবন তৈরি করতে পারতেন নতুন ড্যাপের ফার অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করতে পারবেন ৪ থেকে ৫ তলা। এই ড্যাপ প্রজ্ঞাপন জারির পর আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই না পূর্বের স্বৈরশাসকের প্রণীত বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) এর কারণে এই তিলে তিলে গড়ে ওঠা আবাসন শিল্প বন্ধ হয়ে যাক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট আমাদের দাবি, বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) বাতিল করে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ ও মাস্টার প্ল্যন (ড্যাপ)-২০১০ বিধি অনুসারে ভবনের নকশা অনুমোদনের আদেশ প্রদান করা হোক।
আমরা প্রত্যাশা করি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, যোগ করেন তিনি।
ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement