আন্তর্জাতিক

সাংবাদিক দেখেই দৌড় সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার

আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎস তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্ৰেফতার করেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও সঞ্জয় কীভাবে পুলিশের ব্যারাকে থাকতেন, পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়াতেন। সঞ্জয়ের মাথার ওপর কাদের হাত ছিল, যে কারণে তার এত বাড়বাড়ন্ত?

Advertisement

জানা গেছে, গ্ৰেফতার সঞ্জয় কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটালিয়নের যে ব্যারাকে থাকতেন, সেখানে তার সঙ্গী ছিলেন কলকাতা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অনুপ দত্ত।

আরও পড়ুন>>

আর জি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি সেই রাতে চারবার আর জি কর হাসপাতালে ঢোকেন সঞ্জয় কলকাতায় ধর্ষণ-হত্যার মামলা উঠলো ভারতের সুপ্রিম কোর্টে

গত ৮ আগস্ট হাসপাতালের ঘটনার পরপরই অনুপ দত্তকে ফোন করেছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জয়। কিন্তু কেন তিনি অনুপকে ফোন করেছিলেন, তার উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এবার তদন্তকারীদের নজর এই এএসআই’র ওপর। তাকে সিবিআই দপ্তরে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে আসেন অনুপ দত্ত। কিন্তু সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখেই দৌড়ে পালাতে শুরু করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

অনুপ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছালে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করতে থাকেন, আপনি কি সঞ্জয়কে চেনেন? কতদিনের পরিচয়? ৮ আগস্ট আপনাকে ফোন করে তিনি কী বলেছিলেন?

এসব প্রশ্ন করতেই ছুটে পালান কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্ত। এসময় পেছন থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘অনুপ বাবু আস্তে যান, পড়ে যাবেন।’

কিন্তু সেসব কথায় কর্ণপাত না করে রুদ্ধশ্বাসে দৌড়ে সোজা সিজিও কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন অনুপ দত্ত।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির নেতা ছিলেন অনুপ দত্ত। তার প্রভাবেই পুলিশ ব্যারাকে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন সঞ্জয় রায়। একইভাবে, আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পোস্টিং না থাকার পরেও সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল তার। আর এসবের পেছনে অনুপ দত্তের হাত ছিল বলে গুঞ্জন চলছে।

সূত্র বলছে, গত ৮ আগস্ট ঘটনার রাতে অনুপ দত্তকে একাধিকবার ফোন করেন প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। সেই কল ডিটেলসও হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই অনুপ দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

ডিডি/কেএএ/