আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া সব রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে প্রবাসী অধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে দূতাবাসগুলোতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ করে মেধাবী ও প্রবাসীবান্ধব ব্যক্তিদের নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনায় তারা এসব দাবি জানান। আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রবাসী অধিকার পরিষদ।
আলোচনা সভায় সৌদি প্রবাসী শামসুদ্দীন বলেন, আমি ২০ বছর সৌদি আরবে কাটিয়েছি। লিবিয়াসহ অন্য দেশে মোট ৩৩ বছর কাজ করেছি। জীবনে অসংখ্যবার এয়ারপোর্টে হয়রানির শিকার হয়েছি। আমরা এক কোটি ৩৫ লাখ প্রবাসী এখন এক হয়েছি। আমরা পাসপোর্ট অফিসে গেলে ঘুস, দালাল ধরা ছাড়া কোনো পাসপোর্ট হয় না। এখন স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে। আমরা চাই, আমাদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন হোক।
গণ অধিকার পরিষদের নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনে বিদেশে যেসব দেশপ্রেমী প্রবাসী আন্দোলন করেছেন তাদের অনেকে আজ কারাবন্দি। আমরা চাই তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক।
Advertisement
আরও পড়ুন
মুখ দেখে খাবার দেওয়া হয় হাসপাতালে তিনটি বুলেট লাগে সনজুর চোখে, দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা২৭ বছর মালয়েশিয়া থেকেছেন মুখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া আমাদের এক সহকর্মী মারা গেছেন, দেশে আনার খরচ নেই। আমাদের হাইকমিশনে দশবার গিয়েছি, সহায়তা করেনি। এক মালয়েশিয়ান লোক কবরের জায়গা দিতে রাজি হয়েছেন তবুও বাংলাদেশ হাইকমিশন সাহায্য করেনি। শুধু মালয়েশিয়া নয়, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে হাইকমিশন প্রবাসীদের কোনো সাহায্য করেনি। তাদের কাছে হয়রানি ছাড়া কোনো উপকার পাননি প্রবাসীরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রবাসীরা যখন দেশে আসেন তখন এয়ারপোর্টে, তাদের কোন শ্রেণিতে ফেলে এভাবে হয়রানি করে আমরা জানি না। মানুষের ব্যাগ কেটে টাকা রেখে দেওয়া, মোবাইলফোন রেখে দেওয়াসহ লুটতরাজ অনবরত চলছে। অথচ প্রবাসীরা আমাদের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে সচল রাখছেন।
এসময় বেশকিছু দাবি জানান প্রবাসীরা। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করে ২৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ২. দেশের সব পাসপোর্ট অফিসে দালাল ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে।৩. বাংলাদেশ বিমান অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে।৪. বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট ও কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। ৫. বিভিন্ন দেশে আটক প্রবাসীদের মুক্ত করতে হবে।
Advertisement
আরএএস/কেএসআর/এমএস