জাতীয়

টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম

পাঁচদিনের টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ নিচু এলাকা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

Advertisement

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে দেখা যায় নগরের সড়ক ও অলিগলি হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় কোমরসমান পানি। জলাবদ্ধতার কারণে নগরের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য লোকজনকে নৌকা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আজ আবার নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মূলত আজ সকাল ৯টার পর থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। বৃষ্টি আগামীকাল পর্যন্ত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।’

Advertisement

আরও পড়ুন

ঝোড়ো বৃষ্টি হতে পারে ৮ অঞ্চলে, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

সকালের বৃষ্টিতে নগরের হালিশহর, সিডিএ আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকা, মুরাদপুর, বাকলিয়া, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, চকবাজার, ডিসি রোড, বহদ্দারহাট, একে খান ইস্পাহানি সি গেট এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদের।

কোমরসমান পানি থাকার কারণে মুরাদপুর বহদ্দারহাট সড়ক, চকবাজার মুরাদপুর সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের উভয় পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘মূল সড়ক থেকে বাসার সামনে পর্যন্ত কোমরসমান পানি। জরুরি প্রয়োজনে যে কোথাও যাব সেই সুযোগও নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কোনো সুফল জনগণ পায়নি।’

Advertisement

এদিকে নগরের পাশাপাশি জেলার মিরসরাই, সাতকানিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়রাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও পুকুর তলিয়ে গেছে টানা বৃষ্টিতে।

এএজেড/এসআইটি/এমএস