ডাক বিভাগের পোষ্ট-ই-সেন্টার ফর রুর্যাল কমিউনিটি শীর্ষক প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকা অপব্যবহারের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ডিজি ও প্রকল্প পরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্র ও ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোস্তাক আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১ এ মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের নামে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ডাক বিভাগের এক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় ৫০০ টি এইচইপি সার্ভার ও ইউপিএস কিনেন। কিন্তু তা ব্যবহার না করে সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯ এর ২৩ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এতে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে।
আরও পড়ুন>এবার প্রভাবশালীদের আইনের আওতায় আনতে চায় দুদকএজাহারে বলা হয়, প্রকল্পের অধীন ৫০০টি এইচপিই এম এল ৩০ ও উইনার ব্র্যান্ডের ইউপিএসসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী ক্রয়ের জন্যে সরকারি মালিকানাধীন টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) সঙ্গে চুক্তি করা হয়। পরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডাকঘরগুলোতে বিতরণ করা হয়।
Advertisement
পরে প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় এবং আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপন হয়। জানা যায়, এ ঘটনা তদন্তের জন্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ওই তদন্ত টিম দৈবচয়নের ভিত্তিতে কিছু কিছু ডাকঘর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তদন্ত টিম প্রতিবেদনে জানায় প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ চালানে কোন কোন মালামাল প্রকল্প সমাপ্তির প্রায় দুই বছর পর সরবরাহ করা হয়েছে।
টঙ্গী, গাজীপুর অফিসে এইসব যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা জানান, ব্যবহার না জানার কারণে এবং কোন প্রশিক্ষণ না পাওয়ায় সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতি তারা ব্যবহার করেন না। এসব যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে আছে। কোন ক্ষেত্রে মেশিন ও যন্ত্রাংশ প্যাকেটজাত অবস্থায় রয়েছে।
আরও জানা যায় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে এ সব মেশিন কি কাজে ব্যবহার করা হবে তার কোন নির্দেশনা আঞ্চলিক অফিসকে দেওয়া হয়নি। তাই এ সব যন্ত্রপাতি কোন কাজে আসেনি। প্রকল্পের প্রশিক্ষণ খাতে প্রায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এসব যন্ত্র ব্যবহারের জন্য কোন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের আওতায় ট্রেনিং বিষয়ে ৭ কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার না করে এবং সংশ্লিষ্ট মেশিন ক্রয় করে সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেছেন আসামিরা।
এসএম/এসআইটি/এএসএম
Advertisement