কৃষি ও প্রকৃতি

ঝালকাঠিতে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক, বীজ সংকটের শঙ্কা

প্রযুক্তির উন্নয়নে লাঙলের পরিবর্তে ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ হচ্ছে এখন। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চাষ করতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু আমনের বীজতলা। এতে বীজ সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

Advertisement

বৃষ্টির পানি অনেকটাই আশীর্বাদ কৃষকের জন্য। কিন্তু অতিবৃষ্টির ফলে সেই আশীর্বাদ অভিশাপে রূপ নিয়েছে। অনেক বীজতলা বৃষ্টির কারণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। যা রোপণের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষে আমন বীজ রোপণের জন্য প্রস্তুত করেছেন ঝালকাঠির কৃষকেরা। অনেকে আবার জমি থেকে বীজ তোলার পর রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

প্রাকৃতিক পানির কারণে সেচে উৎপাদন করতে হচ্ছে না। ফলে খরচ কমেছে। কিন্তু সার, কীটনাশক, ডিজেল ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক। এ অবস্থায় সারের কৃত্রিম সংকট মোকাবিলার দাবি তাদের।

ভালো লাভের আশায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে হাড়ভাঙা পরিশ্রমেও যেন ক্লান্তি নেই কৃষকের। এক বিঘা জমিতে আমন উৎপাদনে কৃষকের ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

Advertisement

আরও পড়ুনদেশের কৃষিতেও পরিবর্তন আসুকবাগেরহাটে বছরে সবজি উৎপাদন হাজার কোটি টাকার

কৃষক কামরুল হোসেন জানান, কয়েক বছর ধরে ধানের চারা রোপণের পর রাসায়নিক সারের প্রয়োজন। তখন ডিলার ও সার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়িয়ে দেন। তখন দোকানে দোকানে ধরনা দিয়েও সার পাওয়া যায় না।

অপর চাষি আবদুল হাই জানান, কয়েক বছর ধরে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে সারের দাম বাড়িয়ে দেন। এমন ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ বলে, সারের কোনো সংকট নেই। যা কৃষকের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়। প্রকৃতপক্ষে এ সংকট দূর করতে প্রশাসনকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় ৪৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হচ্ছে। কৃষকের ধান উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়, সেজন্য কৃষি বিভাগ পরামর্শ দেওয়াসহ বাজার মনিটরিংয়ে জোরদার ভূমিকা রাখছে।’

তিনি বলেন, ‘অন্যবারের চেয়ে আরও কঠোর অবস্থানে যাবে প্রশাসন। কৃষি বিভাগ কৃষকের পাশে থাকবে। জেলার সব বীজতলা নষ্ট হয়নি। কয়েক জায়গার বীজ নষ্ট হয়েছে। তাতে বীজ সংকট হবে না।’

Advertisement

মো. আতিকুর রহমান/এসইউ/জেআইএম