২২ বছর বয়সী মুনাচিমসো ব্রায়ান নওয়ানা। নাইজেরিয়ান এই যুবক একজন ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর। সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁয় খেয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ফাস্ট ফুড তার প্যাশন। নিজে খান। দর্শকদেরও সন্ধানও দেন ভালো ফাস্ট ফুডের।
Advertisement
তবে এই কাজেই যে একদিন বিশ্বরেকর্ড করে ফেলবেন তা হয়তো কেউ ভাবেনি। মুনাচিমসো ১৫০টি ফাস্ট ফুড সেন্টারে পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন। কোনো গাড়িতে চড়েননি। আবুজাতে যানবাহনের সংখ্যা এমনিই কম। তাই প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব পায়ে হেঁটে ঘোরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নওয়ানা।
রেকর্ডের জন্য প্রতিটা রেস্তোরাঁ থেকে যে কোনো একটি খাবার বা পানীয় কিনে খান তিনি। এটাই ছিল চ্যালেঞ্জ। তা সুষ্ঠভাবেই সম্পন্ন করেছেন নওয়ানা। বিশ্বরেকর্ড গড়ে খুশি তিনি। নওয়ানা বলছেন, ‘নিউ ইয়র্কে প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে মোড়ে একটা করে রেস্তোরাঁ। গাড়িঘোড়াও অনেক। কিন্তু আবুজাতে পুরো উল্টো। তাই এখানে রেকর্ড গড়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।’
আরও পড়ুন২৫ ফুট লম্বা সাইকেল বানিয়ে রেকর্ড দুই বন্ধুরইনস্টাগ্রামে নওয়ানার একাধিক ছবি পোস্ট করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। বিভিন্ন ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁয় তার খাওয়ার ছবি। একটা ছবিতে একদল অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে গল্প করতে করতে খেতে দেখা যাচ্ছে নওয়ানাকে। বিকাল ৫টা থেকে পরদিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে খেয়েছেন নওয়ানা। মাঝে ঘুমনোর জন্য কয়েকঘণ্টা বিশ্রাম নেন শুধু।
Advertisement
আবুজার রেস্তোরাঁ এবং নাইজেরিয়ান খাবারকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এমন অসাধ্য সাধনে নেমেছিলেন বলে জানিয়েছেন নওয়ানা। শাওয়ারমা, পিৎজা থেকে ফ্রায়েড চিকেন, বার্গার সব ধরনের খাবারই খেয়েছেন তিনি। তবে তার প্রিয় নাইজেরিয়ান মইন (বিন পুডিং) এবং আমালা (ময়দার ডোর মতো দেখতে এক ধরনের খাবার)।
নওয়ানার বলেন, ‘আমি চাই নাইজেরিয়ান খাবারের স্বাদ উপভোগ করুক গোটা বিশ্ব।’ মূলত এ কারণেই এমন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন তিনি এবং খ্যব ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছেন। এর আগে আমেরিকান ইউটিউবার এয়ারর্যাকের দখলে ছিল এই রেকর্ড। তিনি ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁয় খেয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন।
আরও পড়ুনখালি পায়ে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার হেঁটে বিশ্বরেকর্ডঘণ্টায় ১১০০ গাছ জড়িয়ে ধরে রেকর্ড যুবকেরসূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড
কেএসকে/জেআইএম
Advertisement