বিনোদন

‘খেতে বসেছিলাম, একজন ফোন করে বলল পুরস্কার পেয়েছি’

দুপুরে খেতে বসেছিলেন অভিনেত্রী নিত্য মেনন। সেও কাজের ফাঁকে খাওয়া। নতুন একটা চিত্রনাট্য নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনাপর্বের বিরতিতে খাওয়া-দাওয়া। হঠাৎ শুনলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। সেরা অভিনেত্রীর ঘরে আছে তার নাম।

Advertisement

এমন বিস্ময়কর ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না নিত্য। নিজেকে খুব সাধারণ একজন অভিনয়শিল্পী মনে করেন তিনি। দুনিয়ার কোথায় কী হচ্ছে, কবে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে এসব নিয়ে তার তেমন মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু লোকে যখন ফোন করে এ খবর তাকে দেয়, তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না!

গত ১৬ আগস্ট ঘোষণা করা হল ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেদিন যোগাযোগ করা হলে এ রকম প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন তামিল সিনেমা ‘তিরুচিত্রমবলম’-এর নায়িকা। সত্যিই কি এতটাই উদাসীন ছিলেন তিনি? নিত্য মেনন ভারতের এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ পুরস্কার ঘোষণা করা হবে সেটা জানতাম। কিন্তু সেই ঘোষণা শোনার অপেক্ষায় ছিলাম না। কারণ আমি যে পুরস্কার পেয়ে যেতে পারি, সেটা আমার মাথায় আসেনি। দুপুরে খেতে বসেছিলাম, একজন ফোন করে বলল আমি পুরস্কার পেয়েছি।’

খবরটি জানার পর কেমন লেগেছেলি তার? নিত্য বলেন, ‘খবরটা ছড়িয়ে পড়ার পর আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে থেকে এত এত কল পাচ্ছিলাম যে, সেটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। সবাই এত উচ্ছ্বসিত ছিল যে, মনে হচ্ছিল আমার পুরস্কার পাওয়ার খবরে তারা আমার চেয়ে খুশি হয়েছে। এত ভালোবাসা ধারণ করার মতো জায়গা আমার হৃদয়ে নেই। েকউ কেউ তো এমনভাবে আনন্দ করছে যেন, পুরস্কারটা আমি না, তারা পেয়েছে।’

Advertisement

এ বছর যৌথভাবে সেরা নায়িকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে আরও পুরস্কার পাচ্ছেন গুজরাটি ছবি ‘কচ এক্সপ্রেস’-এর নায়িকা মানসী পারেখ। এ বছর দেশটির জাতীয় পুরস্কারে দক্ষিণ ভারতের সিনেমার ছড়াছড়ি। 

আরও পড়ুন:

দক্ষিণের তারকারাই হলেন সেরা  চুপ থাকায় ক্ষোভের মুখে শাহরুখ, প্রতিবাদে সরব কন্যা সুহানা

‘তিরুচিত্রমবলম’ সিনেমায় নিত্য মেননের চরিত্রটির নাম ‘শোবানা’। তার বিপরীতে ছিলেন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ। কিন্তু শোবানা পুরস্কার পাওয়ার মতো চরিত্র না! সংবাদমাধ্যমের এমন প্রতিক্রিয়ায় নিত্য বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে এখন বেশ লাগছে। আমি আসলে এমন চরিত্রে অভিনয় করতেই চেয়েছি, যেটা করার সময় আমার ভালো লাগবে, আর দেখা সময় দর্শকের ভালো লাগবে। অন্যকে আনন্দ দিতে পারার চেয়ে বড় কোনো পুরস্কার হয় না।’

২০০৬ সালে কর্ণাটকী সিনেমা ‘৭ ও ক্লক’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় নিত্য মেননের। ২০১১ সালে ‘আলা মোদালাইন্দি’ দিয়ে মানুষের নজর কাড়েন তিনি। পরে ‘ওকে কনমনি’, ‘মেরসল’, ‘বেঙ্গালুরু ডেজ’-এর মতো ছবিতে দেখা গেছে তাকে। শুধু দক্ষিণী ছবিই নয়, হিন্দি ছবি ‘মিশন মঙ্গল’-এ অক্ষয় কুমার, বিদ্যা বালান, তাপসী পন্নু, সোনাক্ষী সিনহাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ‘ব্রেথ’ সিরিজে ছিলেন অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে।

Advertisement

এমএমএফ/আরএমডি