শিক্ষা

অনুমতি পেলেই সুপারিশ, ‘বিরক্ত’ না করার অনুরোধ এনটিআরসিএর

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ ঝুলে আছে। গত সপ্তাহে এ সুপারিশ করার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়ায় এখনো চূড়ান্ত সুপারিশ করেনি সংস্থাটি।

Advertisement

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত অনেক প্রার্থী এরই মধ্যে নিয়মিত ধরনা দিচ্ছেন এনটিআরসিএ কার্যালয়ে। অনেকে আবার ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তার মোবাইল ও টেলিফোন নম্বর সংগ্রহ করে এক নাগাড়ে কল দিতে থাকছেন। এতে কিছুটা ‘বিরক্ত’ তারা।

প্রার্থীদের এমন ‘অফিসে এসে ঘোরাঘুরি’ ও ‘ফোন না করার’ অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এনটিআরসিএ। এতে বলা হয়, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় চূড়ান্ত সুপারিশ করার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত যেসব প্রার্থী প্রয়োজনীয় সনদপত্র এনটিআরসিএ কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে সুপারিশ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, এমন অবস্থায় পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের এনটিআরসিএ অফিসে ঘোরাঘুরি কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কর্মকর্তাদের ফোন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

Advertisement

জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দিক থেকে কাজ মোটামুটি শেষ। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই শিগগির সুপারিশ করা সম্ভব হবে। সেজন্য প্রার্থীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।

জানা গেছে, ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। প্রার্থী না থাকায় ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। নিবন্ধিত প্রার্থীরা ভি-রোল ফরম পূরণ করে এনটিআরসিএতে তাদের সনদ জমা দিয়েছেন। তারা চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষায়।

এএএইচ/এমকেআর/এমএস

Advertisement