ভেঙে গেল গায়ক অনিন্দ্যর সংসার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গায়কের স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের ১৯ বছরের সংসারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর ভোকাল। অন্যদিকে মধুজা লেখা-আঁকার পাশাপাশি কাজ করেন কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেলে।
Advertisement
বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জন। এ নিয়ে প্রকাশ্যে সেরকম কিছু কখনই প্রকাশ্যে আনেননি দুজনের কেউ। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মধুজা লিখেছেন, ‘অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দো বছর লড়ে দেখলাম, ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন শেষ অ্যালবাম আসছে, ‘চন্দ্রবিন্দু’ কি বন্ধ হচ্ছে বাঙালি হিসেবে লজ্জিত মিঠুনআরও আগেই কি বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল তাদের? সে প্রসঙ্গে ওই লেখা তিনি আরও বলেন, ‘নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ এ জুজুকে নিয়ে মুম্বাই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি ফিরিয়ে দিল, ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম, বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং, কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি।’
চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের জনপ্রিয় গান ‘জুজু সোনা’ বের হয় অনিন্দ্য-মধুজার ছেলে জুজুর জন্মের বেশ আগে। তাদের বিয়ের বিচ্ছেদ হলেও জুজুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়নি জানিয়ে মধুজা লিখেছেন, ‘বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে। জুজুর বাবা মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে, বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!’ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের চরণ থেকে নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে / ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা / উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।’
Advertisement
বিচ্ছেদ নিয়ে এখন পর্যন্ত অনিন্দ্যর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরএমডি/জিকেএস