দেশজুড়ে

স্কুলছাত্র নিহত, আব্দুর রাজ্জাকসহ সাবেক ৬ এমপির নামে মামলা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে টাঙ্গাইলে পুলিশের গুলিতে স্কুলছাত্র মারুফ মিয়া নিহতের ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ছয় সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীরসহ ৫৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানায় নিহত মারুফের মা মোর্শেদা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আরও দুইশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের অনুপম শাজাহান জয়। এছাড়াও মামলার আসামি হয়েছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর।

নিহত মারুফ (১৪) টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাবালিয়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে। সে শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

Advertisement

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, রোববার নিহত ছাত্র মারুফের মা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন ২০০ জন।

গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিজয় মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার কাছে পৌঁছালে পুলিশ গুলি চালায়। একটি বুলেট মারুফের মাথায় বিদ্ধ হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারুফ। টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মোর্শেদা আক্তার জানতে পারেন, মারুফ পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। আন্দোলনে নিহত মারুফের মায়ের একটাই দাবি, রাষ্ট্রীয়ভাবে মারুফকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হোক।

আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/জেআইএম

Advertisement