জাতীয়

চাকরি স্থায়ীসহ ২০ দফা দাবিতে বিমানের কেবিন ক্রুদের বিক্ষোভ

ফ্লাইট সার্ভিসে চুক্তিভিত্তিক কেবিন ক্রুদের চাকরি স্থায়ী ও পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করা, করোনার সময়ে সব রকম স্থগিত করা ভাতা পুনর্বহালসহ ২০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রুরা। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বলাকা ভবনে এই বিক্ষোভ করেন তারা।

Advertisement

এর আগে ৮ আগস্ট ওই ২০ দফা দাবি আদায়ে বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলামের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়ন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) জাহিদুল ইসলামকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জাহিদুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, স্মারকলিপি পাওয়ার পর বাংলাদেশ বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়নের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সংস্থাটির সাবেক এমডি জাহিদুল ইসলাম ভূঞা। তার সঙ্গে আজ বাংলাদেশ বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়নের বসার কথা ছিল। সে অনুযায়ী আজ দুপুরে বাংলাদেশ বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়নের সদস্যরা বলাকা ভবনে যান। তাদের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের এই বিক্ষোভ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তবে বিমানের এমডিসহ দায়িত্বশীল কেউ উপস্থিত না থাকায় কারও সঙ্গেই তারা আলাপ-আলোচনা করতে পারেননি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া আবির জাগো নিউজকে বলেন, বিগত সরকারের আমলে কেবিন ক্রুরা সর্বাত্মক বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন। ক্রুদের মনে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তাই পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ ইউনিয়নের সব সদস্য বলাকা ভবনে যান। কিন্তু বিমানের এমডি, চেয়ারম্যান কেউ দায়িত্বে না থাকায় কারো কাছেই দাবি জানানো যায়নি।

Advertisement

তিনি বলেন, আমাদের দাবি না মানা হলে কেবিন ক্রু ইউনিয়ন কর্মবিরতি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কারণ সব কর্মীর মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। কিন্তু কর্মবিরতি দিলে বিমানের যাত্রীদের ভোগান্তি হবে। আবার এখন বিমানে দায়িত্বশীল কেউ নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে স্বারকলিপি বা খোলা চিঠি দেব। তিনিই এখন বেসামরিক বিমান পরিহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।

এমএমএ/এমআইএইচএস/জিকেএস