হলের পরিস্থিতি জানতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে এসে আটক হয়েছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে গাছে বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার কক্ষ তল্লাশি শেষে চারটি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া যায়।
Advertisement
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৩টায় হলের ভিতরে সন্দেহজনক মনে হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী হলেন আল-আমিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের ৪৫০ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
জানা যায়, হলে পরিস্থিতি এবং ছাত্রলীগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনোভাব জানতে দুপুর ২টায় হলে প্রবেশ করেন তিনি। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে চিনতে পেরে আটক করে গাছে বেঁধে রাখেন এবং ছাত্রলীগের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
Advertisement
এসময় তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পরিচয়পত্র ও হলের আবাসিক কার্ড ছিল না। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার রুম তল্লাশি করে মদের বোতল পাওয়া গেলে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ বলেন, আল-আমিন গত জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ভিডিও ধারণ এবং ছবি তুলে ছাত্রদের পরিচয় ছাত্রলীগের মাঝে ফাঁস করতেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। আজ হলে আসতে দেখে আমরা তাকে আটক করি এবং গাছে বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তার মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগের নেতাদের তথ্য দিয়েছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর সার্জন আব্দুস সালাম বলেন, তার রুমে কয়েকটি বাংলা মদের বোতল পাওয়া গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল সে ছাত্রলীগ কর্মী। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি হলে থাকা শিক্ষার্থীদের অনেক নির্যাতন করত। এ বিষয়ে সব শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
মনির হোসেন মাহিন/এএইচ/জিকেএস
Advertisement