দেশজুড়ে

এমপক্স প্রতিরোধে সতর্কতা নেই হিলি স্থলবন্দরে

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রামক রোগ এমপক্স (মাঙ্কিপক্স)। এতে অনেক দেশ সতর্কতা জারি করলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে এখনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে অনেকটা ঝুঁকিতে রয়েছেন এই এলাকার মানুষ।

Advertisement

হিলি ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ায় প্রতিদিন এই বন্দরের চেকপোস্ট ব্যবহার কয়েকশ পাসপোর্টযাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়া করেন। নেপাল ও ভুটানেও ঘুরতে যান অনেকে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীরা কেউ চিকিৎসার জন্য, আবার কেউ ঘুরতে ভারতে যাচ্ছেন। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো অবাধে ভারতে প্রবেশ করছে। শূন্যরেখায় বিজিবি সদস্যরা যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করেছেন। তবে সংক্রামক রোগ এমপক্সের বিষয়ে বিশেষ কোনো সতকর্তা নেই।

হিলি ইমিগ্রেশনে কথা হয় পাসপোর্টযাত্রী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভারতের ভেলোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আজ সকালে দেশে ফিরলাম। তবে এমপক্সের বিষয়ে ভারতের ইমিগ্রেশনে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখলাম না। আমাদের দেশেও তেমন কিছু ব্যবস্থা নেই। শুনেছি এটি সংক্রামক রোগ।’

Advertisement

সাব্বির হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘এমপক্স বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এখন থেকেই ব্যবস্থা না নিলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।’

তবে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রসুল জানান, আমরা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি।

তিনি আরও জানান, এমপক্সের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, ফোলা লসিকাগ্রন্থি ও ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। এ রোগের লক্ষণগুলো কেউ অনুভব করলে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এমপক্স ভাইরাসের তথ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় জেনেছি। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি।

Advertisement

মাহাবুর রহমান/এসআর/জেআইএম