গাড়িচালকদের লাইসেন্স নিতে বারবার বিআরটিএতে যাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘আমার ড্রাইভার একটা লাইসেন্স নিতে সাতবার ছুটি নিয়েছেন।’
Advertisement
দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি একই সঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
বিআরটিএ’র সেবা নিতে গিয়ে মানুষ হয়রানির শিকার হয়- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার ড্রাইভার একটা লাইসেন্স নিতে সাতবার ছুটি নেন। একটা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সাতবার কেন ছুটি নেবেন? আমার তো একটা মাত্র গাড়ি। আমি কোথায় যাবো? এটার কারণ হচ্ছে, তারা তো জনপ্রত্যাশা জানতেন না।’
তিনি বলেন, ‘একটা লোককে আপনি একটা টেস্ট নিতে পারেন। এটা ভ্যালিড, না হলে তো আপনি সড়কে দুর্ঘটনা ঘটাবেন। একদিন সাবমিশন, আরেক দিন টেস্ট, আরেকদিন পাবেন। এই তিনদিনের বেশি আপনাকে সময় দেওয়া যাবে না।’
Advertisement
এ সময় পাশে থাকা বিআরটিএ’র কর্মকর্তা উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, ‘এখন স্যার আমাদের ৯৫ শতাংশ সেবা অনলাইনে দেওয়া হয়।’
তখন উপদেষ্টা বলেন, ‘অনলাইন, অনলাইন এগুলো বলবেন না। আমাকে এটা বলে সাহায্য করেন যে, একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কতদিন লাগে। কতবার যেতে হয়। এখন একটা অজুহাত শুরু হয়েছে অনলাইন, কম্পিউটার।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার ড্রাইভারকে সাতদিন যেতে হলো এটার উত্তর আপনি কী দেবেন’ তখন ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেকেই বিভিন্ন জনের সহযোগিতা নেয়।’
এরপর ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘কয়টা লাইসেন্সের আবেদন পেয়েছেন, কতদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে, আবেদন গ্রহণের তারিখ এবং ডেলিভারি দেওয়ার তারিখ- আপনি এটা সচিবকে দেবেন।’
Advertisement
পরিবহন খাতের চাঁদাবাজি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়। এটা নিয়ে আপনারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসা করেন, ভালো হবে।’
তিনি বলেন, ‘চাঁদাটা যে নেওয়া হয়, সেটা যায় কোথায়? আমরা তো আর চাঁদার গ্রহীতা হবো না। আপনারা আশা করতে পারেন, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। তবে সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এর সঙ্গে জড়িত থাকলে আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবো।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এমনভাবে রিপোর্ট করবেন যেখান থেকে আমি একটা সিদ্ধান্ত দিতে পারি। অনেক সময় উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটা কিছু লিখে দেওয়া হয়। এগুলো মেহেরবানী করে করবেন না।’
আরএমএম/ইএ/জিকেএস