জাতীয়

মিরপুর-১০ নম্বরের মেট্রো স্টেশনে গিয়ে যা দেখা গেলো

কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় মিরপুর-১০ নম্বর ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্টেশনগুলো সংস্কারে কোনো উদ্যোগ এখনো দেখা যায়নি। তবে মেট্রো স্টেশনের দেওয়াল সেজেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান ও গ্রাফিতিতে। আর ফুটপাতজুড়ে হকারদের রাজত্ব।

Advertisement

শনিবার সরেজমিনে ১০ নম্বর মেট্রো স্টেশনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। স্টেশনের চারটি সিঁড়ির গেট ছিল তালা দেওয়া। দুটো লিফট ও চলন্ত সিঁড়ির গেটও ছিল তালা লাগানো।

মেট্রোর ফুটপাত ও সিঁড়ির নিচে বসেছে দোকান। রাখা হয়েছে খাবারের ভ্রাম্যমাণ গাড়ি। এছাড়া ফুটপাতে কেউ কেউ রেখেছেন ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল।

স্টেশনগুলোতে এখনো রয়েছে সহিংসতার চিহ্ন। কোথাও লোহার রড দিয়ে সাময়িক মেরামত করা হয়েছে স্টেশন গেট। কোথাও গেটের বিভিন্ন অংশ ছিল ভাঙা, জোড়াতালি দিয়ে আটকানো হয়েছে। ম্যাপ বোর্ডের কাচ ভাঙা। এছাড়া বিভিন্ন বোর্ড ও পানির পাইপ ছিল ভাঙা।

Advertisement

আরও পড়ুন

মেট্রোরেল চালুর খবর নেই, যাতায়াতে সেই আগের ভোগান্তি যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুত মেট্রোরেল, অপেক্ষা সিদ্ধান্তের

পুরো মেট্রো স্টেশনে কেনো মেট্রো পুলিশ দেখা যায়নি। মেট্রো স্টেশনের ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন গেটে দেখা যায় আনসার সদস্য তরিকুলকে।

গত এক সপ্তাহ ধরে এখানে ডিউটি করছেন তরিকুল। তিনি বলেন, এই স্টেশনে দেখাশোনা করতে কেউ আসে না। খবরে শুনেছি, এই স্টেশন চালু হতে কয়েক মাস লাগবে। গেটের চাবি আমার কাছে নেই। উপরে কেউ উঠতে পারছে না।

মেট্রোর স্টেশন সংলগ্ন ফুটপাতে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, দোকান খোলা রাখলেও খুব বেশি বেচাকেনা নেই। তবে আওয়ামী সরকারের আমলে মেট্রো স্টেশনের ফুটপাতে বসা নিয়ে খেলতে হতো লুকোচুরি। সেটি এখন নেই।

Advertisement

আলোক হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে ছেলেদের জামা কাপড় গোছাতে দেখা যায় সজল হোসেনকে। তিনি বলেন, বেচাকেনা খুব একটা নেই। এখন ফুটপাতে বসেছি, কেউ নিষেধ করলে বসি না।

এসএম/এমএইচআর/এমএস