ধর্ম

সমিতিতে জমাকৃত অর্থের জাকাত দিতে হবে কি?

জাকাত ব্যক্তির ওপর ফরজ হয়। ব্যক্তির মালিকানাধীন সম্পদের জাকাত আদায় করতে হয়। সমিতির ওপর জাকাত ওয়াজিব হয় না বা সমিতিতে অনেকের জমাকৃত সমুদয় অর্থের আলাদা জাকাত দিতে হয় না।

Advertisement

সমিতির সদস্যদের মধ্যে যার সমিতিতে জমাকৃত অর্থসহ অন্যান্য জাকাতযোগ্য সম্পদ মিলে নেসাব পরিমাণ হবে, তার উপর জাকাত ফরজ হবে। তার যে পরিমাণ টাকা সমিতিতে জমা রয়েছে তা সহই জাকাতের হিসাব করতে হবে।

শরিয়ত নির্ধারিত সীমার বেশি সম্পদ হিজরি ১ বছর ধরে কারো কাছে থাকলে তাকে সম্পদশালী গণ্য করা হয় এবং তার বর্ধনশীল সম্পদের ২.৫ শতাংশ বা ১/৪০ অংশ দান করতে হয়। জাকাত ওয়াজিব হয় বর্ধনশীল সম্পদের ওপর যা ৪ ধরনের হয়ে থাকে:

১. স্বর্ণ২ রৌপ্য৩. ব্যবসায়িক পণ্য ৪. নগদ অর্থ

Advertisement

কেউ যদি এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পত্তি অর্থাৎ ৭ তোলা বা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ তোলা বা ৬১২.৩৫ গ্রাম রৌপ্যের মালিক থাকে অথবা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি স্বর্ণের মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ তার কাছে থাকে, তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে সে সম্পদশালী ব্যক্তি গণ্য হবে এবং তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। নগদ অর্থ, স্বর্ণ/ রৌপ্য বা ব্যবসায়ের সম্পদ যেদিন নেসাব পর্যায়ে পৌঁছাবে, সেদিন থেকেই জাকাতের বর্ষগণনা শুরু হবে। জাকাতের বর্ষ পূর্ণ হওয়ার দিনে ওই ব্যক্তির মালিকানায় যে পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পদ অর্থাৎ নগদ অর্থ, ব্যবসায়ের সম্পদ, স্বর্ণ বা রৌপ্য থাকবে, তার ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা ২.৫ শতাংশ জাকাত হিসেবে দান করে দিতে হবে।

হিজরি ক্যালেন্ডার হিসেবে প্রতি বছর একবার জাকাতের হিসাব করতে হয়। জাকাতের হিসাব করার পর সাথে সাথে পুরো অর্থ আদায় করা জরুরি নয়, বরং ওই অর্থ সারা বছরই অল্প অল্প করে আদায় করা যায়।

ওএফএফ/এমএস

Advertisement