খেলাধুলা

বাফুফে নির্বাচনে বহিরাগতদের শো-ডাউন

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে নিরাপত্তার শংকায় ছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। যে কারণে তার নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের একটি অনুষ্ঠান পর্যন্ত আয়োজন করতে পারেননি। অভিযোগ ছিল সম্মিলিত পরিষদের কাউন্সিলরদের নানা হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। যে কারণে নির্বাচন ঘিরেও ছিল টান টান উত্তেজনা। নির্বাচনের ভেন্যু হোটেল র্যাছডিসন ব্লুতে যে কারণে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।তবে কাজী সালাউদ্দিন যে শঙ্কা করেছিলেন, আজ নির্বাচনে সেটাই বলতে গেলে সত্যি হয়েছে। কারণ, নির্বাচন শুরুর আগে থেকেই দেখো গেছে বহিরাগতদের শো ডাউন। তবে এসব বহিরাগত কে কার পক্ষ নিয়ে শো-ডাউন করতে এসেছে সেটা সঠিকভাবে বোঝা যায়নি। অনেককেই বলতে শোনা গেছে, নির্বাচনটা যদি বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হতো, তাহলে নিশ্চিত লঙ্কাকাণ্ড বেধে যেতো।রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও এসেছিলেন নির্বাচনের ভেন্যুতে। ঢাকার মহানগর যুবলীগের প্রভাবশালী এক নেতা এবং তার সহযোগীদের দেখা গেছে হোটেল র্যা ডিসনে। বাফুফের এজিএম শুরুর আগে থেকে শুরু করে নির্বাচন চলাকালীনও তাদের দেখা গেছে হোটেলের আঙ্গিনায়। তাদের সঙ্গে অচেনা বহিরাগতদের দেখা গেছে।নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ির কারণে হোটেলে প্রবেশের মেইন গেইট থেকে শুরু করে ভেতরে প্রবেশের গেইটেও কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবককে হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে। এ কারণে হোটেলে প্রবেশে তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন দ্বায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরা। তবুও তাদের থামানো যায়নি। এমনকি বহিরাগতদের হুড়োহুড়ির কারণে হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকদেরও প্রথমে প্রবেশে বাধা দেয়। বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখে তারা।গুঞ্জন উঠেছে ‘বাঁচাও ফুটবল পরিষদের’ ভাড়া করা লোকরাই এভাবে হুড়োহুড়ি করার চেষ্টা করেছে। তাদের কর্মকান্ডে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। অনেক কাউন্সিলরকে তো বলতে শোনা গেছে, বাফুফে ভবনে নির্বাচন না হয়ে ভালই হয়েছে। তাহলে নিশ্চিত সেখানে একটা গন্ডগোল হয়ে যেতো।অভিযোগ আছে, নির্বাচন নিয়ে হয়েছে টাকার খেলা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর সেটা পরিস্কার করে দিয়েছেন। নির্বাচনের আগেরদিন রাতেও টাকা নিয়ে হোটেল র্যাপডিসনে এসেছিলেন একটি প্যানেলের লোকজন।তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং ভোটারদের মধ্যে ছিল টান টান উত্তেজনা। নির্বাচনের ভেন্যুর পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল, যেন জাতীয় নির্বাচন। সকাল থেকেই ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। সকাল ১১টায় শুরু হয় বাফুফের বার্ষিক সাধারন সভা, তখন বাইরে কাউন্সিলদের দ্বারস্থ প্রার্থীরা। ভোটের আগ মুহুত পর্যন্ত কাউন্সিলদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রার্থীরা।ভোট শুরুর আগে গুজব ছড়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির নাকি ‘বাঁচাও ফুটবল’ প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছেন। যিনি এর আগে সরাসরি কাজী সালাউদ্দিনকে সমর্থণ দিয়েছিলেন। তবে, হঠাৎ তার নামে বাঁচাও ফুটবল প্যানেলকে সমর্থণ দেয়ার গুঞ্জন ওঠার পর তিনি নিজেই একটি মিডিয়াকে পরিস্কার করেন, আমার সমর্থণ আমার কাছেই। কাকে সমর্থণ করবো, সেটা আমিই জানি। আমার নামে যা প্রচার করা হচ্ছে তা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।’আইএইচএস/আরআর/আরআইপি

Advertisement