জাতীয়

আগামীতে দুর্নীতি কমে আসবে: উপদেষ্টা আরিফ

দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করা হয়তো সম্ভব নয়- এমন মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, প্রেসিডেন্টও দুর্নীতি করেন৷ তবে প্রিন্সিপালটা ঠিক করতে পারলে দুর্নীতির এ জায়গাটা অনেকটা সীমিত হয়ে যাবে।

Advertisement

তিনি বলেন, মূলনীতি যদি আমরা ঠিক করে দিয়ে যেতে পারি এবং সে ধারাবাহিকতায় চলতে থাকলে আমার বিশ্বাস আগামীতে দুর্নীতি কমে আসবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন পুলিশে নিয়োগ-পদায়নে আসাদুজ্জামানের কোটি টাকার ঘুস বাণিজ্য সাবেক আইনমন্ত্রী ও ৩ এমপির ব্যাংক হিসাব জব্দ

দুর্নীতি বন্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ফাঁকফোকর দিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা হয়ে গেছে। কিন্তু আগামীতে এমন হলে আমার নজরে নিয়ে আসবেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে ‘টাস্ক’ অনেক বড়। অনেকদিনের জঞ্জাল জমে আছে। এটা এক-দুদিনে ঠিক হবে না। সবার সহযোগিতা থাকলে এটা ধাপে ধাপে সমাধান হবে।

হাসান আরিফ বলেন, কোনো পদক্ষেপ সঠিক হয়নি এমন বিবেচনা থাকলে সেটা আমাদের জানালে আমরা পুনরায় বিবেচনা করবো। প্রতিটি জায়গায়ই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোথায় বাজেট কত এবং কত দূর অগ্রসর হয়েছে সেগুলোতে নজরদারি করা হবে।

তিনি বলেন, যখনই আমার কাছে ফাইল নিয়ে আসা হয় (বিশেষত প্রকল্পের ফাইল) সেগুলো আমি নিজে খুঁটিনাটি দেখে এরপর সই করি৷ অভিযোগ আছে যে প্রকল্প হচ্ছে দুর্নীতি ও অপচয়ের একটা জায়গা৷ কেউ যদি এসে বলে প্রকল্পের সবকিছু ঠিক আছে স্যার, সই করে দেন; তাহলেও কিন্তু আমি সই করি না।

আরও পড়ুন পাচার অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা

এ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা যদি আইন অনুযায়ী কাজ করি তাহলে কিন্তু দুর্নীতি অটোমেটিক্যালি থাকবে না। আইনে আছে যে আপনি ১০০ টাকার কাজের ১০০ টাকারই কাজ করবেন। কিন্তু আমি যদি ৩০ টাকা ভাগাভাগি করে নেই, তাহলে সেখানে থাকলো মাত্র ৭০ টাকা। আইনে তো এমন বলা নেই যে ১০০ টাকা দিলে আপনি ৭০ টাকার কাজ করবেন এবং বাকি ৩০ টাকা দিয়ে আনন্দ-ফুর্তি করবেন। সুতরাং আমরা যদি আইনের মধ্য থেকে কাজ করি তাহলে দুর্নীতিতে বড় একটা বাধা আসবে। আইন থেকে বিচ্যুত হলেই এটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, যেখানে একটি বড় বাজেট থাকে এবং কর্মকাণ্ড থাকে সেখানে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। পথ খুলে যায়। সে জায়গাগুলো বন্ধ করা আমাদের জরুরি প্রয়োজন। যারা সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলো আমরা দেখে ব্যবস্থা নেবো। এমএএস/এমকেআর/জিকেএস