জাতীয়

বিসিএস খাদ্য কারিগরি গ্রুপে বৈষম্য দূর করতে স্মারকলিপি

দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান সত্ত্বেও বিসিএস খাদ্য (কারিগরি) ক্যাডার কর্মকর্তারা অভ্যন্তরীণ নানা ধরনের বৈষম্য ও বিমাতাসুলভ আচরণের সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব বৈষম্য দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন খাদ্য কর্মকর্তারা।

Advertisement

বুধবার ২৬ জন খাদ্য কারিগরি গ্রুপের কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি খাদ্য মন্ত্রাণালয়ে জমা দেওয়া হয়।

ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিসিএস খাদ্য (কারিগরি) ক্যাডাররা খাদ্যের (সাধারণ) ক্যাডারদের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত। যে কারণে পদোন্নতি-পদায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য হয়েছে। নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কারিগরি ক্যাডারদের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমনকি স্বীকৃতি ও সম্মানের ক্ষেত্রেও তারা বঞ্চিত। বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী ও প্রশাসনিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হওয়ার কারণে সাধারণ গ্রুপের অনুজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মানটুকুও তারা পাচ্ছেন না।

এ স্মারকলিপিতে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এতে বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠতা, ফিডার পদে কর্মকাল পূর্ণ হওয়া ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিচালক পদসমূহে কারিগরি ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া প্রশাসন বিভাগ, সংগ্রহ বিভাগ, চলাচল, সংরক্ষণ ও সাইলো বিভাগসহ কারিগরি স্থাপনাসমূহের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সব বিভাগের বিভিন্ন স্তরে খাদ্য কর্মকর্তাদের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক সাইলোসহ অন্যান্য কারিগরি স্থাপনাসমূহের নির্মাণকাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা সাপেক্ষে তদসংশ্লিষ্ট পদ সৃজনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া রাইস সাইলোতে গম রাখার সিদ্ধান্ত বাতিলসহ খাদ্য সংগ্রহ, খাদ্য সংরক্ষণ এবং সাইলো সংক্রান্ত সকল নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে ক্যাডারভূক্ত কর্মকর্তাগণের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।

Advertisement

কারিগরি গ্রুপের ক্যাডাররা বলছেন, নানান বৈষম্যের কারণে এখন পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ ও সংরক্ষণে যথাযথ উন্নয়ন হয়নি। নতুন নির্মিত কারিগরি স্থাপনাসমূহের পদ সৃজনে বিলম্ব হচ্ছে। পোস্তগোলা সরকারি আধুনিক ময়দা মিলটি ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হলেও সেটির এখনো পদ সৃজন সম্ভব হয়নি। এছাড়া আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত আধুনিক সাইলোর পদ সৃজনেও দেরি হচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, সাইলো ও সাইলোর কর্মচারীদের বিষয়ে সাধারণ ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনীহা থাকার কারণে বর্তমানে সাইলোসমূহের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ পদ শূন্য হয়ে রয়েছে।

এনএইচ/এমএইচআর

Advertisement