জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে খাবারের দোকান : ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে রয়েছে হরেক রকম খাদ্যদ্রব্যের ভাসমান দোকান। যেখানে মিলছে বিভিন্ন ধরনের আচার ফুচকা, চটপটি, নুডুলস,ঝালমুড়ি, রঙ বেরঙের আইসক্রিম,চানাচুর, শরবতসহ বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার। ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে খাবার ঢেকে রাখা হয় না বলে এসব খাবারে সব সময় ধুলাবালি পড়া এসব খাদ্য স্বাস্থ্যসম্মত নয়, অথচ সচেতনতার অভাবে সেই খাবারই স্কুল পডুয়া সন্তানকে কিনে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাই কিনে খাচ্ছে এসব অখাদ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাস্তার পাশে বিক্রি করা খোলা খাবার খেলে ক্ষুধামন্দা, জন্ডিস, হেপাটাইটিস, পেটের পীড়া, পেটের প্রদাহসহ মারাত্মক সব রোগ হতে পারে।রাজধানীর কমলাপুর সংলগ্ন মুগদাপাড়ায় হায়দার আলী স্কুলের সামনে অনেক শিশু শিক্ষার্থীদের এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্য কিনে দিচ্ছেন খোদ অভিভাবকরাই। শিশু শিক্ষার্থী তন্ময়ের মা হালিমা খাতুন নিজেই সন্তানকে অস্বাস্থ্যকর এসব আচার কিনে দিতে দেখে, কেন এমন অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে দিচ্ছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বুঝতে পারছি অস্বাস্থ্যকর খাবার তবুও সন্তানের জেদে কিনে দিতে হচ্ছে। স্কুলের সামনে খোলা খাবার বিক্রি বন্ধ করলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করেন তিনি।টিফিন শুরু বা স্কুল ছুটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা ভিড় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এসব খাবারের দোকানে। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে বিভিন্ন রঙ মেশানো আইসক্রিম বিক্রি হতে দেখে বিক্রেতা নজিম উদ্দিনের কাছে ‘রঙ মেশানো আইসক্রিমগুলো স্বাস্থ্যসম্মত’ কি না  জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি নিয়ে অন্যদিকে চলে যান।হরহামেশায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আচারের বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে এসব আচারের ক্রেতা শিশুদের তুলনায় বড়রাই বেশি। অভিভাবক লুৎফর নাহারকে আচার কিনতে দেখে ‘এ আচারের কি মেয়াদ আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন,  এ বিষয়টাতে সচেতন হওয়া জরুরি ছিল। আমরা এতদিন ভাবতাম এই আচারগুলো হয়তো প্রতিদিন বানিয়ে আনে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি এটা অনেক আগের আবার প্রতিদিন ধুলোবালি পড়ে অস্বাস্থ্যকর খাবারে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে ডা. সাদিয়া আরেফিন বলেন, রাস্তার পাশে বিক্রি করা খোলা খাবার খেলে শিশুদের ক্ষুধামন্দা, জন্ডিস, হেপাটাইটিস, পেটের পীড়া, পেটের প্রদাহসহ মারাত্মক সব রোগ হতে পারে। এছাড়া এসব আইসক্রিম,শরবতে পানি বাহিত যে কোন ধরনের মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে শিশুদের। তিনি বলেন, এসব রোগ থেকে শিশুদেরকে রক্ষা করতে হলে অভিভাবকদের সচেতনতা এবং ব্যক্তিগতভাবে সবাই সচেতন হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে।এএস/এসকেডি/এমএস

Advertisement