দেশে পর্যাপ্ত সার মজুত আছে। ফলে চলতি মৌসুমে সারের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
Advertisement
বুধবার (১৪ আগস্ট) মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন দেশে ৫ লাখ ৭০ হাজার টন ইউরিয়া, ৩ লাখ ২০ হাজার টন টিএসপি, ৩ লাখ ৯০ হাজার টন ডিএপি এবং ৪ লাখ ১১ হাজার টন এমওপি সার মজুত রয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং অধিশাখার উপ-প্রধান কর্মকর্তা (কৃষি অর্থনীতিবিদ) বদিউল আলম সারের মজুতের বিষয়টি দেখেন। জাগো নিউজকে সার মজুতের বিষয়ে এ তথ্য জানান বদিউল আলম।
দেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় ইউরিয়া সারের। যদিও গ্যাস সংকটসহ নানান কারণে জামালপুরে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে সাত মাস। তবে উৎপাদনের পাশাপাশি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে সার আমদানি করা হয়।
Advertisement
এসব বিষয়ে বদিউল আলম বলেন, এখন যে সার রয়েছে, তাতে চলতি আমন মৌসুমে সার সংকটের কোনো শঙ্কা নেই। যদিও গ্যাস সংকট ও চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে অনেকে সংকটের শঙ্কা করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা আগামী বোরো মৌসুম নিয়ে কাজ শুরু করছি। এখন যে মজুত রয়েছে, তাতে আপাতত কোনো চিন্তা নেই।
বর্ষাকালের শেষদিকে এখন কৃষক ব্যস্ত আমন চাষে। গত জুলাইয়ের প্রথম দিকে বন্যায় প্লাবিত হয় দেশের কিছু অঞ্চল। টানা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষি। যার প্রভাব পড়েছে আমন চাষে। ফলে এ বছর বিলম্বিত হতে পারে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ।
দেশে উৎপাদিত মোট চালের ৪০ শতাংশ হয় আমন মৌসুমে। চলতি মৌসুমে রোপা আমনের জন্য ৫৬ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে এবার ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টন।
Advertisement
এনএইচ/কেএসআর/জিকেএস