জাতীয়

পাঁচ বছর পর যেন লড়াই করতে না হয় কীভাবে ভোট দিতে হবে

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, পাঁচ বছর পর যেন লড়াই করতে না হয় কীভাবে ভোট দিতে হবে। আর সে জন্যই রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন দরকার।

Advertisement

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিস্তা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাইকমিশনারকে বলেছি তিস্তায় পানি কম আছে জানি। এমনকি এক দেশের জন্য যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন সেটুকুও নেই, কিন্তু আছে তো। দেখা যায়, দুই পাড়েই ক্যানেল যাচ্ছে আর ইরিগেশন হচ্ছে। আর মাঝখানে বাংলাদেশ শুকনা। তাকে বলেছি, ১০০ কিউসেক পানি থাকলে আপনারা কী ৩০ কিউসেকও দিতে পারেন না?

সরকার পরিবর্তন হলেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, কেন এ সরকার এসেছে এবং সরকারের রোডম্যাপ কি সেটি রাষ্ট্রদূতদের জানিয়েছি। দু-একজন জানতে চেয়েছেন কতদিন মেয়াদ হবে। বলেছি আসলে জানি না কতদিন লাগবে। যারা এ বিপ্লব সাধন করেছেন তাদের পক্ষ থেকে আমাদের একটা লক্ষ্য হয়েছে। কারণ এ বিপ্লবে শুধু ছাত্র না জনসাধারণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। তারা চায় এবং আমরাও চাই পাঁচ বছর পর যেন লড়াই করতে না হয় কীভাবে ভোট দিতে হবে। সেজন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন দরকার। সব পরিবর্তন যে এ সরকার করে ফেলতে পারবে তা না। কিন্তু পথনির্দেশটা আসতে হবে।

Advertisement

উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতিতে প্রচন্ড নৈরাজ্য দেখেছি, সেটা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। কারণ অর্থনীতিটা কয়েক ব্যক্তির না, অর্থনীতি সব মানুষের। আমরা দেখেছি ব্যাংকগুলো লুটপাট করা হয়েছে। কয়েকজন ব্যক্তি হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে বের করে নিয়ে গেছে। সে কারণে সমস্যা হয়েছে ফরেন রিজার্ভে। এ ধরনের অরাজকতা যেন না আসতে পারে সেজন্য সবার দাবি দুর্নীতি কমাতে হবে। বিশ্বের সব জায়গায় দুর্নীতি আছে। কিন্তু ধরা পড়লে শাস্তি নেই এটা ছিল আমাদের বৈশিষ্ট্য। সেটি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আসিফ নজরুল বলেছেন, এ লক্ষ্যগুলো প্রাথমিকভাবে পূরণ হতে আমাদের যতটুকু সময় লাগবে তার থেকে একদিনও বেশি থাকবো না। কারণ এখানে কারও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, কেউ বেনিফিট নেওয়ার জন্য আসেননি। এ লক্ষ্যে কাজ শেষ করে তিন মাস সময় দিয়ে নির্বাচন করে এ সরকার বিদায় নেবে। কূটনীতিকরা বলেছেন তারা চায় এ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে।

আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস