গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে প্রায় ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। একটি মানবাধিকার সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত চলা সংঘাতে নিহত শিশুদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি শিশুই দুই বছরের কম বয়সী। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
জেনেভা-ভিত্তিক ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের সংখ্যা ভয়ঙ্কর এবং আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে এই সংখ্যা নজিরবিহীন বলা যায়।
গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রায় ১০ মাস ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে মসজিদ, স্কুল, হাসপাতালসহ এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে হামলা চালানো হয়নি। গাজার সর্বত্রই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।
এদিকে বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে গাজার নুসেইরাত, মাঘাজি, খান ইউনিস এবং রাফায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া বুধবার সকালে অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুবাস গভর্নরেটে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চারজন তাম্মুন শহরে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত শনিবার (১০ আগস্ট) গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১০০ জনেরও বেশি নিহত হয়। স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাতিসংঘ।
ইসরায়েলের এই হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট পার্থী কমলা হ্যারিসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফিল গর্ডন।
তিনি বলেছেন, শনিবার গাজার স্কুলগুলোতে ইসরায়েলের হামলায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক ক্ষতি কমানোর জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
Advertisement
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা অ্যাকশন ফর হিউম্যানিটি বলেছে, গত কয়েকদিনে গাজার সাতটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের উচিত, ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া। কারণ এসব অস্ত্র ব্যবহার করে নেতানিয়াহু বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে।
আরও পড়ুন: লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের হামলা এবার সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলা ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলা, নিহত ১২গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত প্রায় ১০ মাস ধরে চলা সংঘাতে কমপক্ষে ৩৯ হাজার ৯৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯২ হাজার ২৯৪ জন।
টিটিএন