কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে (৩০)-কে গত ৯ আগস্ট ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সঞ্জয় রায় নামের এক ব্যক্তি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ।
Advertisement
তবে সঞ্জয় যে এবারই প্রথম এ ধরনের অপরাধ করেছের তা নয়। এর আগেও সে অন্য এক নারীকে হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে এক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থেকে এক নারীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন সঞ্জয়।
প্রায় তিন মাস আগে ওই নারী তার ছেলেকে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানেই সঞ্জয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সঞ্জয় তাকে ওষুধ কিনতে সাহায্য করেছিলেন। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে নিউজ১৮-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরপরেই ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সঞ্জয়।
ওই নারীর অভিযোগ, সঞ্জয় তাকে ক্রমাগত কল দিতে থাকেন। শুধু কল দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি। বার বার ওই নারীকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য হুমকি দিতে থাকেন।
Advertisement
কলকাতা পুলিশ সঞ্জয়ের ফোন রেকর্ড থেকে ওই নারীর নাম্বার সংগ্রহ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে লালবাজার থানায় তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা: তদন্ত করবে সিআইডি হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী ধর্ষণ-হত্যা, বিক্ষোভে উত্তাল গোটা ভারত ভারতে প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার ৮৭ জনসঞ্জয় একাধিক বিয়ে করেছেন বলেও জানা যায়। যদিও তার কোনো বিয়েই টেকেনি। পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার কারণে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে তার সহজ প্রবেশাধিকার ছিল।
এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবকদের চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী হিসেবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন ধরণের কাজে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য নিয়োগ করা হয়। তারা মাসিক প্রায় ১২ হাজার রুপির মতো বেতন পান।
টিটিএন
Advertisement