পাহাড়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক ভিড় করেন নীলগিরিতে। বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীলগিরি। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা দার্জিলিংখ্যাত এই পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ২২০০ ফুট।
Advertisement
উঁচু এই পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জুম চাষ করেন পাহাড়বাসী। নীলগিরি যাওয়ার পথে আরও অনেকগুলো আকর্ষণীয় রিসোর্ট ও পর্যটনকেন্দ্র আছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো- শৈলপ্রপাত ঝরনা, মিলনছড়ি ভিউ পয়েন্ট, চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র ও সাইরু হিল রিসোর্ট।
চাইলে খুব সহজে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে পরপর এই স্পটগুলো ঘুরতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হবে যদি আগে সরাসরি নীলগিরি চলে যান। আর যদি বিকেলে নীলগিরিতে সময় কাটাতে চান তাহলে যাওয়ার পথেই সব আকর্ষণীয় রিসোর্ট ও পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে তারপর নীলগিরি যেতে পারেন।
নীলগিরি যেতে হলে প্রথমেই দেশের যে কোনো স্থান থেকে বান্দরবান যেতে হবে। বাসে যেতে চাইলে এক্ষেত্রে নন এসির ভাড়া ৫০০-৫৫০ ও এসি বাসের ভাড়া ৯০০-১৬০০ টাকা। বাসে গেলে বান্দরবান পৌঁছাতে ৭-১০ ঘণ্টা লাগবে।
Advertisement
আরও পড়ুন
পানির নিচে মিললো ৩০০০ বছরের মাটির মূর্তি থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় ৬ ট্যুরিস্ট স্পটযদিও ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবানের কোনো ট্রেন নেই। তাই ঢাকা থেকে প্রথমে ট্রেনে করে চট্রগ্রাম যেতে হবে। সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে শ্রেণীভেদে ৩০০-১২০০ টাকা করে। এরপর সেখান থেকে পৌঁছাতে হবে বান্দরবান।
এরপর বান্দরবন থেকে নীলগিরি পৌঁছানোর বেশ কয়েকটি মাধ্যম আছে- জিপ, মহেন্দ্র, সিএনজি, লোকাল বাস অথবা চান্দের গাড়িতে যেতে পারবেন আপনার গন্তব্যে। পরিবার কিংবা বন্ধুরা সঙ্গে থাকলে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে নিন। এতে নীলগিরি যাওয়ার পথের অন্যান্য জায়গায়ও ঘুরে দেখতে পারবেন।
আর যদি একদিনেই নীলগিরি ঘুরে আসতে চান তাহলে জিপ নিতে পারেন। বিভিন্ন গাড়ি অনুযায়ী ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায় ভাড়া নিতে পারবেন। এছাড়া চান্দের গাড়ি, সিএনজি, ছোট জিপ ইত্যাদি দিয়েও যেতে পারবেন। নীলগিরির মেঘের মেলা দেখতে চাইলে খুব সকালে বেরিয়ে পড়ুন।
Advertisement
বেশিরভাগ পর্যটকই বান্দরবান থেকে নীলগিরি ঘুরে একদিনেই ফিরে আসেন। বান্দরবানে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট আছে। যারা নীলগিরিতে থাকতে চান তারা চাইলে সেখানকার কটেজে থাকতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। রুমভেদে ভাড়া পরবে ৫-১০ হাজার টাকার মধ্যেই। তবে বিভিন্ন মৌসুমের উপর ভাড়া নির্ভর করে। তাই ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে দিন। তবে অফ সিজনে গেলে ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। মনের মতো ক্যাফেও পেয়ে যাবেন সেখানে খাওয়া দাওয়ার জন্য।
জেএমএস/এমএস