রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত বেলগোরোদে ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ। সে কারণে ওই অঞ্চলের গভর্নর সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছেন।
Advertisement
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ বলেন, বেলগোরোদ অঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন এবং উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকরা হতাহত হচ্ছে।
এই গভর্নর বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আজ থেকে বেলগোরোদ অঞ্চলজুড়ে আঞ্চলিক জরুরি অবস্থা থাকবে। পরবর্তীতে সরকার যেন ফেডারেল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন সেজন্য আবেদন জানানো হবে।
Advertisement
গত সপ্তাহে সীমান্ত দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ক্রমেই তারা রাশিয়ার আরও অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। কুরস্ক অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেন। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) আঞ্চলিক ভারপ্রাপ্ত গভর্নর জানিয়েছেন, কুরস্কে রাশিয়ার চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। পুরো অঞ্চলেই রাতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।
কিয়েভে জানিয়েছে, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের ৭৪টি সেটেলমেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে সীমান্ত দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার সেনা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সম্ভাব্য আলোচনার আগে কিয়েভের অবস্থান শক্ত করা ও রাশিয়ার অগ্রযাত্রাকে ধীর করার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে।
Advertisement
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বেলগোরোদ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারির খবর সামনে এলো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাদের সৈন্যদের এই আক্রমণের উদ্দেশ্য রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করা নয় বরং রাশিয়াকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধ্য করা।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাশিয়া অন্যদের জন্য যুদ্ধ নিয়ে এসেছে, এখন যুদ্ধ তাদের দিকেই যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের ৪০ বর্গকিলোমিটার (১৫ বর্গমাইল) এলাকায় অগ্রসর হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
টিটিএন