গত ২০ দিনে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দরে ভারতীয় কোনো মালবাহী ট্রেন প্রবেশ করেনি। ফলে বন্দরের শ্রমিক, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ও সারাদেশ থেকে আসা ট্রাকচালক-হেলপাররা অলস সময় পার করছেন। একই সঙ্গে কমেছে রাজস্ব।
Advertisement
দর্শনা রেলবন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ২৪ জুলাই দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে ১৩ আগস্ট থেকে মালবাহী ও লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। সে সময় দর্শনা রেলবন্দরে ভারতীয় মালবাহী ট্রেন প্রবেশ করার কথা থাকলেও তা আসেনি।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম বলেন, ২০ দিন অতিবাহিত হলেও দর্শনা বন্দরে কোনো ভারতীয় মালবাহী ওয়াগন আসেনি। আমরা আমদানিকারকদের মাধ্যমে তাগাদা দিলেও তারা (ভারত থেকে) ওয়াগন পাঠাচ্ছে না। কি কারণে পাঠানো হচ্ছে না তা অবশ্য জানায়নি।
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবুসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, এ অবস্থা ধারাবাহিকভাবে চললে দুই দেশের রাজস্ব হ্রাস পেতে পারে।
Advertisement
জামাল নামের এক ট্রাকচালক বলেন, আমরা বেকার হয়ে বসে আছি। কবে মালামাল আসা স্বাভাবিক হবে বুঝতে পারছি না।
জিয়াউল নামের এক শ্রমিক বলেন, প্রায় এক মাস আমাদের কাজ নেই। দেশের তো অবস্থা এখন স্বাভাবিক, আমাদের কাজ শুরু হোক। না হলে সংসার চালানো কঠিন।
দর্শনা রেলস্টেশন ম্যানেজার জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেলভাড়া আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। সেখানে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ টাকা আদায় হয়েছে। এখানেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক গুণ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
দর্শনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবু সুশান্ত চৌধুরী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮ কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি চার লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম।
Advertisement
দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু জানান, দুই দেশের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই অতি দ্রুত দর্শনা বন্দরে ভারতীয় মালবাহী ওয়াগন প্রবেশ দরকার।
জেডএইচ/এমএস