জাতীয়

মৌলবাদ শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য জরুরি

স্বাধীনতার চেতনার প্রশ্নে কোনো আপোষ নয়। যারা স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী, যারা মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে চায় আজ তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার সময় এসেছে।“বিভক্তি নয়, জাতীয় ঐক্যেই মুক্তি” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আবু নছর। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ডেইলী অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “আমি মনে করি, দেশে কখনো্ই বিভক্তি ছিল না। ছিল বিভ্রান্তাকারী গোষ্ঠি। ১৯৭১ সালে কোনো বিভক্তি ছিল না ছিল কিছু উন্মাদ বিভ্রান্তকারী। এই বিভ্রান্তকারীরা আজ শক্তি প্রদর্শন করতে চায়। এই বিভ্রান্তকারী নব্য রাজাকারদের বিরুদ্ধে আরেককটি মুক্তিযুদ্ধ হবে বলে আমি মনে করি।”তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল। জিয়া মিলিটারির মাধ্যমে স্বঘোষিত খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনেছিল আার খালেদা জিয়া জামায়াতকে ক্ষমতার ভাগীদার করেছিল।যারা দেশের স্বাধীনতার পতাকার বিরোধীতা করেছিল তাদের গাড়ীতে পতাকা তুলে দেয়া হয়েছে। যারা এই দেশের সংবিধানের বিরোধীতা করেছিল তারাই সেই সংবিধান ছুয়ে শপথ করে মন্ত্রী এমপি হয়েছে।তিনি জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশের বাইরে থেতে আপনি দেশ দেশের মাটি ও আদালতকে উপে্ক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর বিরোদ্ধাচারণ করছেন। আপনি দেশে আসুন দেশে এসবে আপনার কথার যৌক্তিকতার প্রমাণ দিন।তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, দেশে ফিরে এসে দেখুন দেশের বিরুদ্ধে আপনি কথা বলার সুযোগ পান কি না? তারেক জিয়াকে তিনি কুলাঙ্গার, কুপুত্র, অশিক্ষিত বলে দাবি করে তিনি বলেন, যেমন মা তার তেমন ছেলে।

Advertisement