আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম দেখেছি। পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন দেখেছি। ইয়াহিয়া খানের দাপট ও ঔদ্ধত্য দেখেছি, আবার তার পতনও দেখেছি। দেখেছি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়। বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখেছি। দেখেছি জিয়াউর রহমানের উত্থান-পতন। এরশাদের ক্ষমতা দখল ও পদত্যাগের ঘটনাও চোখের সামনেই দেখেছি। কিন্তু এর কোনোটার সঙ্গেই শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার ঘটনাটি মেলাতে পারি না। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যে এক মাসের ব্যবধানে সরকার পতনের এক দফায় পরিণত হবে এবং শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগ করতে হবে– এটা আমার কেন কোনো রাজনৈতিক পণ্ডিতেরই হয়তো ভাবনায় ছিল না। শেখ হাসিনার পতন শেখ হাসিনা নিজেই ডেকে এনেছেন বলে এখন অনেকেই বলছেন। সরকার পরিবর্তনের নিয়মতান্ত্রিক উপায় হলো নির্বাচন। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করেছেন। বলপ্রয়োগ করে বা পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের ওপর ভর করে যে ক্ষমতায় চিরকাল থাকা যায় না – এটা শেখ হাসিনা বুঝতে চাননি।
Advertisement
সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তুমুল গণআন্দোলনের মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে দেশ ছাড়েন। তার এই দেশ ছাড়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। গণতন্ত্র, বৈষম্যের অবসান ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারা এরপর দেশে শক্তিশালী হবে, না দুর্বল হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা বিজয় প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। এ সময় গণভবনে ঢুকেও লুটপাট করা হয়। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সেখান দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
এর আগে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। রাজধানী ঢাকার বিজয় সরণিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হচ্ছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একদল মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
Advertisement
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এই বাড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বসবাস করতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই বাড়িতেই তাকে হত্যা করা হয়। পরে এই বাড়িটিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ করছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই বাড়িতে আক্রমণ করেনি। ১৯৭৫ সালেও বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ঘাতকেরাও এই বাড়ির কোনো ক্ষতি সাধন করেনি। এবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে এই বাড়ির ওপর আক্রোশ প্রকাশের ঘটনাকে যারা নিছক বিক্ষুব্ধ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন, তারা সম্ভবত এই ঘটনার রাজনৈতিক তাৎপর্য বুঝতে পারছেন না অথবা জেনে-বুঝেই আড়াল করতে চাইছেন।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে হামলা আগুন দেওয়ার ঘটনা বাঙালি জাতির জন্য ‘কলঙ্কজনক অধ্যায়’ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। যারা এটা করেছে তাদের ‘বিচার একদিন হবেই’ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভবনটিতে আগুন দিয়ে সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চার দেয়াল ছাড়া সেখানে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। পুড়ে গেছে তিনতলা বাড়ির প্রতিটি কক্ষ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ভবনের সামনের দিকে শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশে রাখা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিও। আগুন নেভাতে আসতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসও। দুই দিন পর বুধবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আসেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ভাঙ্গাইলে খ্যাতনামা কাদেরিয়া বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া কাদের সিদ্দিকী। বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা এক কথা নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা, স্বাধীনতার মহানায়ক।‘
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘৩২ নম্বরের বাড়ি যেভাবে ভাঙতে, পুড়তে, ধ্বংস হতে দেখলাম, তার আগে আমার মৃত্যু হলে অনেক ভালো হতো। নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগ অন্যায় কাজ করেছে অনেক। কিন্তু শেখ মুজিব তো বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেছেন। ক্ষমতার রাজনীতিকে কেন্দ্র করে যে ধ্বংসযঞ্জ চললো, এটা ভবিষ্যতে বাঙালি জাতির ইতিহাসে জাতির জন্য একটি কলঙ্ক হয়ে থাকবে। কাদের সিদ্দিকীআরও বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুগ যুগ জীবিত থাকবে, তার সম্মান যুগ যুগ থাকবে। যারা এই অপকর্ম করছে তাদের বিচার একদিন না একদিন হবেই।‘
Advertisement
কাদের সিদ্দিকী ঠিক কথাই বলেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসের স্রষ্টা। তাকে ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়ার যেকোনো চেষ্টা যে ফল পায় না, সেটা আমাদের জানা।
আওয়ামী লীগ করা ‘দোষের নয়’, মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোনো আওয়ামী লীগারের গায়ে হাত দেবেন না। দেশে শান্তি স্থাপন করুন। আপনারা জয় তিলক কপালে পরুন। আমি চাই, এখন থেকে দেশে একটা শান্তি আসুক।‘শেখ হাসি চলে যাওয়ায় দেশে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কী হবে এমন প্রশ্নে জনতা লীগের নেতা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কিছু হবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যে বিপর্যয় এসেছিল, এটা তার চাইতে বড় বিপর্যয় নয়। কিছুটা সময় তাদের ভয় যাবে, কষ্ট যাবে। কিন্তু এটা একেবারে কিয়ামত হয়ে যাবে না।‘
ইতিহাস দখলের পায়তারা হয়তো এখনো হবে, ১৯৭৫ সালেও হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে সফল হয় না, তার প্রমাণও পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়েই আমরা পেয়েছি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেহেরপুরের মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে দূর্বৃত্তের হামলায় ভেঙে ফেলা হয়েছে ছয়শত ভাস্কর্য। যে ভাস্কর্যগুলো মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা ইতিহাস তুলে ধরতো পর্যটকদের কাছে। ভাস্কর্যগুলো ভাংচুর হয়েছে শুনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের। তাঁরা এ দূর্বত্তায়ানের বিচার দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর থেকে প্রায় দুই শতাধিক র্দর্বৃত্ত রড, বাঁশ ও হাতুড়ি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে। প্রথমে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির মাথা ভেঙে ফেলে। একই সময়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ ভাস্কর্যটিতে। আরও একটি দল ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্থনের ভাস্কর্যগুলোতে আঘাত করে। তবে সেখানে খুব বেশি ভাঙচুর করতে পারেনি তারা। পরে কমপ্লেক্সের মধ্যে দেশের মানচিত্রের আদলে তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধের বর্ণনা সংবলিত ছোট ভাস্কর্যগুলো ভেঙে আশপাশে ছুড়ে ফেলে। আরও একটি দল শহীদ স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকটি ভেঙে নিয়ে যায়।
ওই সময়ে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা একজন আনসার সদস্য বলেছেন, ‘৬০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা প্রথমে তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে তারা ভাস্কর্যগুলো ভাঙতে শুরু করে। এসময় আমাদের এক সদস্য পড়ে গিয়ে আহত হন। একদল এসে কিছ‚ ভাস্কর্য ভেঙে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার আর একদল এসে স্মৃতি কমপ্লেক্সের মানচিত্র ও গ্যালারির সকল ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে। দূর্বৃত্তরা সীমনা রেলিং, স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক, পানির পাম্পসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করেও নিয়ে গেছে।’
মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে স্থাপিত আনসার ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবেদার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘যখন দুর্বৃত্তরা এখানে হামলা শুরু করে, তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। তিনি কোনো নির্দেশনা দিতে পারেননি। এ কারণে আনসার সদস্যরা নিজেদের জীবন ও অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যারাকে অবস্থান নেন।’
১১ আগস্ট দুপুরে সরেজমিন ঘুরে একজন সাংবাদিক লিখেছেন, মুজিবনগর কমপ্লেক্সের মূল ফটকে কোনো নিরাপত্তাকর্মী নেই। ভিতরে প্রবেশ করে মনে হলো যেন এক মরুভ‚মি। দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সটি আজ নির্বীকার হয়ে দাড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে পর্যটন মোটেল, মসজিদ ও রাষ্ট্রীয় অতিথিদের বাংলো। এগুলো ভাংচুর করা হয়নি। এগুলো পেরিয়ে স্মৃতি কমপ্লেক্স। কমপ্লেক্সের সামনে সারি সারি ভাস্কর্য। সখানে সব ভাস্কর্য কমবেশি ভাঙচুর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির মাথা ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাজউদ্দীন আহমদের ভাস্কর্যটিকে আঘাত করা হয়েছে। গার্ড অব অনারের ভাস্কর্যগুলোতে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়েছে। ভাস্কর্যগুলো ভেঙে পড়ে আছে। চেনার উপায় নেই সেগুলো। বাংলাদেশের মানচিত্রের ওপরে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১টি সেক্টরের আদলে তৈরি ছোট ভাস্কর্যগুলো একেবারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপ্লেক্সের পেছনে জয় বাংলা তোরণের ‘জয় বাংলা’ লেখাটি খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তবে অক্ষত রয়েছে মসজিদ, এতিমখানা, বাংলোগুলো।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে নিরাপদ স্থান বিবেচনায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান মুজিবনগরে) সমবেত হন। সেখানে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তার পরে ওই স্থান নামকরণ করা হয় মুজিবনগর।
ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। এম এ জি ওসমানীকে সরকারের প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। মুজিবনগরে তৎকালীন সাবডিভিশনাল পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব উদ্দিন আহমদ, বীর বিক্রমের নেতৃত্বে ১২ জন আনসার সদস্য বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এই অস্থায়ী সরকারের নেতৃত্বে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়।
পরে ১৯৮৭ সালে মুজিবনগর আম্রকাননে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধের। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে ১৯৯৬ সালে ওই স্থানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তি আওয়ামী লীগ সরকার মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সটিকে আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ পর্যটন কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে ৪০৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মালেক বলেন, ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমেপ্লেক্সের একেকটি ভাস্কর্য স্বাধীনতার প্রতীক। যারা এগুলো ভেঙেছে তারা গর্হিত কাজ করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ ঘটনার শোনার পর থেকে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এবং ভেঙে ফেলা ভাস্কর্যগুলো নতুন করে প্রতিস্থাপন করার দাবিও জানান তিনি।’
মুক্তিযুদ্ধের একজন সাধারণ সৈনিক ও দেশের একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ হিসেবে আমিও চাই, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, বিভিন্ন স্থানে তার ম্যুরাল, ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া না হলে রাষ্ট্র সংস্কারের বক্তব্য কথার কথা হয়ে থাকবে। আন্দোলনের ইতিহাস সৃষ্টিকারী ছাত্র সমাজের উদ্দেশে আমার বক্তব্য : ইতিহাস কাউকে কিন্তু মার্জনা করে না।
লেখক: রাজনীতিক।
এইচআর/জিকেএস